Site icon দৈনিক এই বাংলা

দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান সন্দ্বীপের সঙ্গে সরাসরি ফেরি যোগাযোগ শুরু

Oplus_131072

নিজস্ব প্রতিবেদক :::

অবশেষে বাস্তবে রূপ নিলো সন্দ্বীপবাসীর বহু প্রতীক্ষিত স্বপ্ন। ট্রলার ও স্পিডবোটের ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রার অবসান ঘটিয়ে সোমবার (২৫ মার্চ) থেকে চট্টগ্রাম-সন্দ্বীপ ফেরি সার্ভিস চালু হয়েছে। এতে দ্বীপবাসীর জীবনযাত্রায় নতুন দিগন্তের সূচনা হলো।

সকালে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ফেরিঘাট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম ফেরি ছেড়ে যায় সন্দ্বীপের গুপ্তছড়ার উদ্দেশে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে চালু হওয়া এ সেবার উদ্বোধন করেন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন।

এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।

দীর্ঘদিন ধরে সন্দ্বীপের মানুষকে নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজের জন্য দুর্ভোগ পোহাতে হতো। বৈরী আবহাওয়ায় দ্বীপটি প্রায়ই মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেত, যার ফলে অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসার জন্য নেওয়াটা হয়ে উঠত দুঃসাধ্য। এখন ফেরি সার্ভিস চালুর মাধ্যমে সেই কষ্টের দিন শেষ হলো।

আধুনিক ফেরি সেবা, দ্রুত যাতায়াত

বিআইডব্লিউটিএ চট্টগ্রামের সূত্র জানিয়েছেন, প্রতিটি ফেরিতে একসঙ্গে ৩৫টি যানবাহন এবং ৬০০ যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হবে। প্রতিদিন চারবার জোয়ার-ভাটার সময় অনুযায়ী চলাচল করবে ফেরি। চট্টগ্রাম থেকে সন্দ্বীপ যেতে সময় লাগবে মাত্র এক ঘণ্টা ১০ মিনিট।

এই সার্ভিস চালুর পাশাপাশি ঢাকা-সন্দ্বীপ রুটে বিআরটিসির বাস সার্ভিসও চালু করা হয়েছে। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম এয়ারপোর্ট-সি বিচ-নিমতলা-বাঁশবাড়িয়া ফেরিঘাট-সন্দ্বীপ এনাম নাহার মোড় রুটে এসি বাস পরিষেবা শুরু হয়েছে। ফলে সন্দ্বীপের মানুষ সহজেই রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে সংযুক্ত হতে পারবে।

ফেরিতে যাতায়াতের জন্য নির্ধারিত ভাড়া হলো:
সাধারণ যাত্রী: ১০০ টাকা, মোটরসাইকেল: ২০০ টাকা, সিএনজি অটোরিকশা : ৫০০ টাকা, ব্যক্তিগত গাড়ি : ৯০০ টাকা, বাস: ৩,৩০০ টাকা, ট্রাক : ৩,৩৫০ টাকা, ১০ চাকার গাড়ি: ৭,১০০ টাকা।

এই ফেরি সার্ভিস সন্দ্বীপের যোগাযোগ ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে। এটি শুধু দ্বীপের সঙ্গে মূল ভূখণ্ডের সংযোগই দৃঢ় করবে না, বরং অর্থনৈতিক উন্নয়ন, শিক্ষার প্রসার ও চিকিৎসা সেবার মানোন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”

Exit mobile version