Site icon দৈনিক এই বাংলা

অবরুদ্ধ নাহিদ, দফায় দফায় সংঘর্ষ, ভেতরে ঢুকতে দেয়া হয়নি পুলিশকে

সানাউল্লাহ রেজা শাদ:::;

বরিশালে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির মতবিনিময় সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় হাতাহাতি এবং বিশৃঙ্খলা হয়েছে। কর্মীদের মূল্যায়ন না করা এবং জেলা ও মহানগর নেতৃবৃন্দের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সেখানে স্লোগান দেন দলটির সমর্থকদের একাংশ।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করতে চাইলে আটকে দেওয়া হয় জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের গাড়িবহর।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বরিশাল ক্লাবে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন নাহিদ ইসলাম। দলীয় নেতা-কর্মী ও সাংবাদিকদের মতবনিমিয় করতে এই আয়োজন করে এনসিপি। সভায় এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব, যুগ্ম মূখ্য সংগঠক (দক্ষিণ) ডা. মাহমুদা আলম মিতুসহ বরিশাল জেলা এবং মহানগরের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈষম্যবিরোধী নেতাকর্মীদের নিয়ে সভায় বসেন নাহিদ ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। সভা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা ও মহানগর কমিটির নেতৃত্ব নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বরিশাল মহানগরের আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম সাহেদ, জেলার সদস্য সচিব ওয়াহিদ এবং নাগরিক পার্টির মাহমুদা আলম মিতুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তোলেন। তাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

একপর্যায়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে কমিটি ভেঙে দেওয়ার দাবি জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা। এ নিয়ে সভাস্থলে দফায় দফায় বিশৃঙ্খলা এবং মহানগরের সংগঠক ইয়াসিন আরাফাতসহ কয়েকজনকে মারধর করতে দেখা যায়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নেতারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে চাইলে বরিশাল ক্লাবে গেটে তাদের আটকে দেয় শিক্ষার্থীরা। সেখানে কিছু সময় অবরুদ্ধ থাকতে হয় তাদের। পরে অন্য নেতাদের হস্তক্ষেপে ঘটনাস্থল ছাড়েন নাহিদ ইসলাম। নাহিদ চলে যাওয়ার পরে ক্লাব রোডে বিক্ষোভ করেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একাংশের নেতাকর্মীরা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মহানগরের সদস্য নাফিজ ইমাম বলেন, “আন্দোলনের সাত মাস হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় নেতারা বরিশালে এসে কর্মীদের সাথে কথা বলেনি। তারা আহ্বায়ক-সদস্য সচিবদের সাথে হোয়াট্সঅ্যাপে মিটিং করেন। বরিশাল মহানগরের আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম সাহেদ ও জেলার সদস্য সচিব ওয়াহিদুর রহমানসহ আরও কিছু লোক আছে আমরা তাদের পদত্যাগ দাবি করছি। কেননা তারা কর্মীদের খোঁজ-খবর নেয় না।”

খবর পেয়ে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ, ডিবি এবং এপিবিএন সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান।
দলের অভ্যন্তরীণ বিষয় হওয়ায় তাদের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান।

Exit mobile version