Site icon দৈনিক এই বাংলা

শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের এমডি মোসলেহ উদ্দীনের বিরূদ্ধে অভিযোগ, দায়মুক্তির নেপথ্যে

বিশেষ প্রতিবেদক: আর্থিক কেলেঙ্কারির দায়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিবেচনায় ২য় মেয়াদে এনসিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে অযোগ্য বিবেচিত হলেন মোসলেহ উদ্দীন আহমদ। এনসিসির ব্যাংকের পর এসবিএসির এমডি ও সিইও পদে চাকুরি শেষে বর্তমানে শাহজালাল ইসলামি ব্যাংকে এমডি পদে কীভাবে যোগ্য বিবেচিত হয়ে এখনো বহাল রয়েছেন এ নিয়ে ব্যাংক পাড়ায় রয়েছে বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনা। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, মোসলেহ উদ্দীন আহমদ বহুবিধ অভিযোগে এনসিসি ব্যাংকের চাকুরি হারান। এনসিসি ব্যাংকের চাকুরি হারানোর প্রায় ৯ মাস পর তিনি এসবিএসি ব্যাংকের এমডি পদে যোগদান করেন। মাত্র নয় মাসের ব্যবধানে কীভাবে বিএফআইইউয়ের অনুসন্ধানে প্রকাশ হওয়া সুস্পষ্ট সব অভিযোগ থেকে মুক্ত হয়ে চাকুরির যোগ্য হয়ে গেলেন এ নিয়ে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। (তবে বিষয়টি অনুসন্ধান করা হলে ঢাকনার নিচে থাকা দানব বের হয়ে আসতে পারে।)কেউ বলছেন, বিএফআইইউর অনুসন্ধান সঠিক হয়ে থাকলে দুদক কীভাবে সুস্পষ্ট একটি অভিযোগ তদন্ত ছাড়া বাতিল করে দেয় এটি একটি প্রশ্ন সাপেক্ষ বিষয়। এদিকে, বিএফআইইউয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, বিএফআইইউয়ের অনুসন্ধানে কোন অনুরাগ কিংবা বিরাগের আশ্রয় নেয়া হয় নি। মোসলেহ উদ্দীন আহমদের লেন দেনের প্রকৃত সত্যটা তুলে ধরে এ বিষয়ে দুদককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, মোসলেহ উদ্দীন আহমদ এনসিসি ব্যাংকে চাকুরিতে অযোগ্য বিবেচিত হয়ে প্রায় ৯ মাস বেকার ছিলেন। এ সময় তৎকালীন সেনা প্রধান জেনারেল আজিজের ( প্রধান মন্ত্রীর লোক খ্যাত) ক্ষমতায় তৎকালীন দুদক চেয়ারম্যান মোসলেহ উদ্দিন আহমেদকে অভিযোগ থেকে মুক্ত করে দিতে বাধ্য করেন বলে জানা যায়। কৃতজ্ঞতা স্বরূপ মোসলেহ উদ্দীন আহমদ জেনারেল আজিজের বিদেশে থাকা ভাইদের সাথে তার লেনদেনের সংযোগ তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা রাখেন বলেও জানা যায়। মোসলেহ উদ্দীন ভারতে লেখা পড়া করার সুবাদে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের অনেক ব্যাংক কর্মকর্তার সাথে তার সম্পর্ক রয়েছে বলে জানা যায়। সাবেক সেনা প্রধান জেনারেল আজিজ তার মাধ্যমেই বিদেশে টাকা পাঠানোর বিভিন্ন চ্যানেলের সন্ধান পেয়েছেন। সে সকল চ্যানেল ব্যবহার করে বাংলাদেশে অর্জিত অবৈধ টাকা জেনারেল আজিজ বিদেশে থাকা তার ভাইদের কাছে নিরাপদে পাঠানোর পথ খুঁজে পেয়েছেন বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায় ।

২০১৯ সালে ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন, কর ফাঁকি, সঞ্চয়পত্রে সীমার বেশি বিনিয়োগসহ নানা অভিযোগ থাকায় পুনঃনিয়োগ আবেদন নাকচ করে দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। বিএফআইইউয়ের অনুসন্ধানে উদ্ঘাটিত এত বড় জালিয়াতির ঘটনা অনুসন্ধান শেষ না করে বিশেষজ্ঞ মহলে বিএফআইইউ এর অনুসন্ধান ও দুদকের ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অনেক আবার বলেছেন, গত সাড়ে পনেরো বছরে অযাচিত ক্ষমতা প্রয়োগে দুদকের কত অভিযোগে ও মামলার অনুসন্ধান গায়েব হয়েছে তা খতিয়ে দেখা এখন সময়ের এ দাবি। বিভিন্ন ক্ষমতাধরদের মদদে গত সাড়ে পনেরো বছরে দুদকের কত অভিযুক্ত ও দূর্ণীতিবাজকে খালাস করে দেয়া হয়েছে এ বিষয়ে পূণঃ তদন্ত হওয়া আবশ্যক বলে মনে করেছেন অনেকে।

বিএফআইইউয়ের তদন্তে ও দুদকের অভিযোগের ভিত্তিতে এনসিসি ব্যাংকের এমডির পদ ছাড়তে হয়েছে মোসলেহ উদ্দিন আহমেদকে। সে সম‌য দুদক ঘোষণা দিয়েছিল ৩৫ কোটি টাকার উৎসের খোঁজে শিগগিরই নামবে দুদক। বিএফআইইউয়ের বিশেষ অনুসন্ধানে এনসিসি ব্যাংকের সাবেক এই এমডির বিভিন্ন হিসাবে প্রায় ৩৫ কোটি টাকার লেনদেন সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ে থাকা অবস্থায় মোসলেহ উদ্দিন আহমেদের ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি ও কর ফাঁকির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থের মালিক হয়েছেন।বিগত ৩০ জুলাই ২০২০ ছিল তার প্রথম মেয়াদের শেষ দিন ছিল।২০১৯ সালের এপ্রিলে বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও শেয়ারবাজারে মোসলেহ উদ্দিন ও তার স্ত্রীর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ১৪টি ব্যাংক হিসাব, আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ছয়টি মেয়াদি আমানত, সীমাতিরিক্ত সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ এবং শেয়ারবাজারে চারটি বিও হিসাব পরিচালিত হওয়ার তথ্য পায় বিএফআইইউ। এতে মোট ৩৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকা (মার্কিন ডলার বাদে) অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য উদ্‌ঘাটিত হয়।এ ছাড়া মোসলেহ উদ্দিন আহমদ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) ২০১৮ সালে দাখিলকৃত আয়কর বিবরণীতে তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট হিসাব সমূহের তথ্য গোপন করে মোটা অঙ্কের রাজস্ব থেকে সরকারকে বঞ্চিত করেছেন, যা মানী লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ২(শ) ধারা মোতাবেক করসংক্রান্ত অপরাধ। ওই সময়ই মোসলেহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিএফআইইউ থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও দুর্নীতি দমন কমিশনে চিঠি দেওয়া হয়।

কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক কিংবা দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। জেনারেল আজিজের ক্ষমতাবলে তদন্ত চলাকালে তাকে সাময়িক বরখাস্ত পর্যন্ত করা হয়নি । ফলে ব্যাপক দুর্নীতি করেও গত ১৫ মাসের বেশি সময় স্বপদে বহাল তবিয়তে ছিলেন তিনি। জেনারেল আজিজের তদবিরের দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান তার মামলাটি প্রত্যাহার করতে বাধ্য হলে মোসলেহ উদ্দীন আহমদ প্রথমে থার্মেক্স গ্রুপের মালিক ও এসবিএসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের মোল্লার সাথে সম্পর্ক করে এসবিএসি ব্যাংকে যোগদান করেন। পরিচালকদের সাথে সম্পর্কের টানাপোড়েনে খুব অল্প দিনের মধ্যে চাকুরি ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়ে শাহজালাল ইসলামি ব্যাংকে যোগদান করেন।

জানা যায়, এনসিসি ব্যাংকের চাকুরি থেকে অভ্যহতি পেয়ে দুদকের মামলা থেকে রেহাই পেতে জোড় তদবির লেগে পড়েন। জানা যায় এসময় এনসিসি ব্যাংকের বারিধারা শাখার সাবেক ম্যানেজার(যিনি এমডি মোসলেহ উদ্দীনের ঘনিষ্ঠ ছিলেন) ওরা প্রাইম মিনিস্টারের লোক খ্যাত সাবেক সেনা প্রধান জেনারেল আজিজের মাধ্যমে এই মামলাটি প্রত্যাহার করতে চেষ্টা-তদ্বির চালান।মোসলেহ উদ্দীন আহমদ তার ঘনিষ্ঠ সহচর সোহেল মিয়ার সহযোগিতায় সাবেক জেনারেল আজিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুদকের চেয়ারম্যানকে মামলাটি প্রত্যাহার করতে বাধ্য করা হন বলে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে জানা যায়।

সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ও সরকারি সংস্থাকে বৃদ্ধাংগুলি দেখিয়ে পার পেয়ে যান মোসলেহ উদ্দীন আহমদ। এরপর তিনি এসবিএসি ব্যাংকের এমডি হিসেবে যোগদান করলে তার সাথে সোহেল মিয়াও তার অনুগত হিসেবে এসবিএসি ব্যাংকের গুলশান শাখা প্রধান হিসেবে যোগদান করেন। এক সময় সাভার কলেজের ছাত্রলীগের নেতৃত্বে থাকা সোহেল মিয়া মোসলেহ উদ্দীনের মত পরশ পাথরের সাথে থেকে এখন তিনি নিজেই পরশ পাথর।

বিএফআইইউ বা দুদকের পক্ষ থেকে সোহেল মিয়ার বিষয়ে তদন্ত করা হলে কেচো খুড়তে অজগর বের হয়ে আসতে পারে বলে । এনসিসি ব্যাংকের এমডির ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেনের বিষয়ে বিএফআইইউ ২০১৯ সালের মে মাসের ১ম সপ্তাহে একটি চিঠি দিয়েছে। দুদকের সচিব বিভাগ থেকে চিঠিটি কমিশনে পাঠানো হয়েছে। শিগগিরই এ বিষয়ে কমিশন সিন্ধান্ত নেবে বলে সে সময় জানানো হয়েছে।

২০১৯ সালের এপ্রিলে বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও শেয়ারবাজারে মোসলেহ উদ্দিন ও তার স্ত্রীর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ১৪টি ব্যাংক হিসাব, আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ছয়টি মেয়াদি আমানত, সীমাতিরিক্ত সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ এবং শেয়ারবাজারে চারটি বিও হিসাব পরিচালিত হওয়ার তথ্য পায় বিএফআইইউ।

এতে মোট ৩৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকা (মার্কিন ডলার বাদে) অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য উদ্‌ঘাটিত হয়।এতে বিএফআইইউর পর্যালোচনায় বলা হয়, মোসলেহ উদ্দিন কয়েকটি ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা থাকা অবস্থায় নৈতিকস্খলন, ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি ও কর ফাঁকির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থের মালিক হয়েছেন, যা মানী লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ২(শ)(১) এবং ২(শ)(১৯) এ বর্ণিত অপরাধ। ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও শেয়ারবাজারে হিসাব খোলার সময় তিনি অর্থের উৎস সম্পর্কে অসত্য তথ্য দিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা ও বিনিয়োগ করেছেন, যা মানী লন্ডারিংয়ের ভাষায় প্লেসমেন্ট হিসেবেও পরিগণিত। সঞ্চয়পত্র ক্রয় বিধিমালার সর্বোচ্চ সীমা একের পর এক লঙ্ঘন করেছেন। নিজ নামে ও স্ত্রীর নামে সাড়ে ছয় কোটি টাকার অধিক সঞ্চয়পত্র ক্রয় ও মুনাফা উত্তোলন করেছেন, যা শুধু রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাতের শামিলই নয়, একটি ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে নৈতিকস্খলনের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এ ধরনের একজন ব্যক্তির কাছে একটি ব্যাংক তথা আমানতকারীদের আমানত সুরক্ষিত নয় মর্মে প্রতীয়মান হয়।

এ ছাড়া মোসলেহ উদ্দিন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) ২০১৮ সালে দাখিলকৃত আয়কর বিবরণীতে তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ১৮টি হিসাবের তথ্য গোপন করে মোটা অঙ্কের রাজস্ব থেকে সরকারকে বঞ্চিত করেছেন, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ২(শ) ধারা মোতাবেক করসংক্রান্ত অপরাধ বলে পর্যালোচনা করেছেন বিএফআইইউ ।জানা যায়, ওই সময়ই মোসলেহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিএফআইইউ থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও দুর্নীতি দমন কমিশনে চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তুৌৌ কেন্দ্রীয় ব্যাংক কিংবা দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমনকি তদন্ত চলাকালে সাময়িক বরখাস্ত পর্যন্ত করা হয়নি তাকে। ফলে ব্যাপক দুর্নীতি করেও গত ১৫ মাসের বেশি সময় স্বপদে বহাল তবিয়তে ছিলেন তিনি।

ব্যাংক কম্পানি আইনের ১৫(৪) ধারা অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনক্রমে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিযুক্ত হন। ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যাংকের আমানতকারীদের ক্ষতিকর কার্যকলাপ রোধকল্পে বা জনস্বার্থে বাংলাদেশ ব্যাংক ওই এমডির বিরুদ্ধে ব্যাংক কম্পানি আইনের বিধান অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।

ব্যাংক কম্পানি আইনের ১৫(৪) ধারা অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনক্রমে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিযুক্ত হন। ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যাংকের আমানতকারীদের ক্ষতিকর কার্যকলাপ রোধকল্পে বা জনস্বার্থে বাংলাদেশ ব্যাংক ওই এমডির বিরুদ্ধে ব্যাংক কম্পানি আইনের বিধান অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।

এ বিষয়ে মোসলেহ উদ্দীন আহমদের মতামত নিতে শাহজালাল ইসলামি ব্যাংকের অফিসিয়াল নাম্বারে কল দেয়া হলেও তাকে পাওয়া যায় নি।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত শেখ হাসিনা ও তার ঘনিষ্ঠ প্রভাবশালীদের প্রভাব প্রতিপত্তি ও ক্ষমতায় দুদকে দায়ের হওয়া হাজার হাজার অভিযোগ আলোর মুখ দেখে নি।তৎকালীন ক্ষমতাশালীদের হস্তক্ষেপে হাজার হাজার অভিযুক্ত পার পেয়ে বহাল তবিয়তে রয়েছে।

দুদক থেকে ক্ষমতাশালীদের প্রভাবে কারা কারা গত সাড়ে পনেরো বছর অন্যায় – অপরাধ করেও ক্ষমতার জোড়ে রেহাই পেয়ে গেছে তাদেরকে খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করা পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে একমাত্র দাবি।

Exit mobile version