Site icon দৈনিক এই বাংলা

নাটোরে মাদক কেনা-বেচায় বাধা দেওয়ায় যুবকের চোখ উৎপাটন ও পায়ের রগ কর্তন-আটক ১

আল আমিন,নাটোর প্রতিনিধি ::

নাটোরের বড়াইগ্রামে মাদক কেনা-বেচায় বাধা দেওয়ার জেরে এক যুবককে তুলে নিয়ে গিয়ে চোখ উৎপাটন ও পায়ের রগ কর্তন করার ঘটনা ঘটেছে।

সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ টীম এ অপরাধের সাথে জড়িত একজনকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। গতকাল রোববার ভোরে পাশ্ববর্তী পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলি উত্তরপাড়া এলাকা থেকে চোখ উৎপাটন ও রগ কাটা কাজে নেতৃত্বদানকারী কিশোর গ্যাং এর নেতা আশরাফুল ইসলাম মুন্না (২০)কে আটক করে সেনাবাহিনীর নাটোর ক্যাম্পের বিশেষ টীম। এর আগে গত বুধবার রাত ১১টার দিকে নাটোরের বড়াইগ্রামের রাজাপুরে অনুষ্ঠিত একুশে বই মেলা থেকে রুবেল হোসেন(২৩)কে কিশোর গ্যাং এর ৭/৮ জন তুলে নিয়ে যায়। তারা মুলাডুলি এলাকায় নির্জন স্থানে নিয়ে মারধর করার পাশাপাশি ছুরি দিয়ে ডান চোখ উপড়ে ফেলে এবং ডান পায়ের রগ কেটে দেয়। পরে মেলা থেকে ফেরার সময় স্থানীয়রা তাকে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করে। নির্যাতনে শিকার রুবেল উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের নটাবাড়িয়া গ্রামের আকবর আলীর ছেলে।

রুবেলের চাচাতো ভাই সোহেল রানা জানান, ২৩ ফেব্রুয়ারী মুলাডুলি এলাকার কিশোর গ্যাং এর মুন্না, শিহাব, চ্যাপা সজিব এলাকার মাদক ব্যবসায়ী সাধু মামুনের কাছে আসে মাদক কিনতে। এতে রুবেল সহ এলাকার লোকজন চোর চোর করে ধাওয়া দিলে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার জেরে সাধু মামুন ২৬ ফেব্রুয়ারী রাতে মেলা থেকে ওই কিশোর গ্যাং-দের দিয়ে আমার ভাই রুবেলকে তুলে নিয়ে গিয়ে এই নির্যাতন চালায়। তারা আমার ভাইয়ের ডান চোখ নষ্ট করে দিয়েছে ও ডান পায়ের রগ কেটে ফেলেছে। পরে সেনাবাহিনী কিশোর গ্যাং-এর নেতৃত্বদানকারী মুন্না নামে একজনকে আটক করেছে।

বড়াইগ্রাম থানার পুলিশ পরিদর্শক মাহবুবর রহমান জানান, ঘটনার পর বড়াইগ্রাম থানায় কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি। সেনাবাহিনীর টীম মুন্না নামে একজনকে থানায় সোপর্দ করেছে। এ ব্যাপারে যথাযথ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Exit mobile version