Site icon দৈনিক এই বাংলা

সীতাকুণ্ডে অবৈধ বালু উত্তোলনের জেরে নিখোঁজ  জেলের লাশ উদ্ধার

Oplus_131072

সীতাকুন্ড প্রতিনিধি::

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড এলাকায় সন্দ্বীপ চ্যানেলে অবৈধভাবে বালু তুলতে বাধা দেওয়ার জেরে পিটিয়ে সাগরের পানিতে ফেলে দেওয়া জেলে রাম জলদাসের (৩২) লাশ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। ঘটনার চার দিন পর আজ শুক্রবার সকালে তাঁর লাশ সীতাকুণ্ড উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের গুলিয়াখালী সমুদ্রসৈকত এলাকায় ভেসে আসে।

রাম জলদাসের বাড়ি উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের মধ্যম মাহমুদাবাদ গ্রামের জেলেপাড়ায়। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করার পর তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।

কুমিরা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক ওয়ালীউদ্দিন আকবর প্রথম আলোকে বলেন, জোয়ারের পানিতে গুলিয়াখালী সমুদ্রসৈকতে রাম জলদাসের লাশ ভেসে আসে। ভাটার সময় পানি নেমে যাওয়ায় কাদামাটিতে লাশটি পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় জেলেরা। পরে তাঁরা নিহত ব্যক্তির স্বজনদের খবর দেন। স্বজনদের কাছ থেকে খবর পেয়ে নৌ পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে রাম জলদাসের লাশ উদ্ধার করেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ছোট ভাই লিটন জলদাসকে নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে যান রাম জলদাস। এ সময় তাঁদের জালের খুব কাছ থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু তুলে বাল্কহেড (বালুবাহী নৌযান) ভর্তি করছিলেন কয়েকজন ব্যক্তি। বাল্কহেডের প্রপেলারে জেলেদের একটি জাল পেঁচিয়ে যায়। জালটি কাটার সময় প্রতিবাদ করেন রাম জলদাস। এ সময়ে বালু তোলায় নিয়োজিত ব্যক্তিরা ক্ষিপ্ত হয়ে রাম জলদাসের মাথায় আঘাত করেন। পরে পিটিয়ে তাঁকে সাগরের পানিতে ফেলে দেন। এরপর থেকে রাম জলদাস নিখোঁজ ছিলেন।

রাম জলদাসকে সাগরে ফেলে দেওয়ার পর তাঁর ছোট ভাই লিটন জলদাসকেও অপহরণ করে নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার চেয়ারম্যানঘাট এলাকায় নিয়ে যান বালু তোলায় জড়িত ব্যক্তিরা। পরে নৌ পুলিশের সদস্যরা লিটন জলদাসকে উদ্ধার করেন। রাম জলদাসের স্ত্রী কণিকা জলদাস এ ঘটনায় হত্যা ও অপহরণের মামলা করেছেন। নৌ পুলিশ ঘটনায় জড়িত ছয় ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে।

Exit mobile version