Site icon দৈনিক এই বাংলা

ভোটারবিহীন নির্বাচনে সহযোগিতার জন্যে পুরস্কৃত হয়েছিলেন যারা

আরাফাত সিদ্দিকী :::

২০১৪ সালে বিনা ভোটে নির্বাচিত হবার পর আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা অনিয়ম দূর্নীতিতে হাত পাকান। ২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে আগের রাতে ভোট কেটে নেবার ‘কূটকৌশল ‘ দিয়ে আওয়ামী লীগকে নির্বাচনী বৈতরণী পার করান সাবেক সচিব হেলাল উদ্দীন।

সাবেক সচিব হেলাল উদ্দীন ২০১৪ ও ২০১৮ সালে বিনা ভোটের নির্বাচনের অন্যতম কুশীলব ছিলেন। ২০২৪ সালের ডামি নির্বাচনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন বর্তমানে কারাবন্দী এই সাবেক আমলা।  আওয়ামী লীগ সরকার রাজধানীর পূর্বাচলে তাকে বিশেষ কোটায় প্লট দিয়ে পুরস্কৃত করেছিলেন। তিনি প্লটটি পান সরকারি চাকরিতে ‘অসামান্য অবদানের’ জন্য। ভোটের পাঁচ মাস আগে সাত কাঠার প্লট বরাদ্দ পান তিনি। এই প্লটে বাজার মুল্য অন্তত সাত কোটি টাকা। 

রাতের ভোটে’ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর হেলালুদ্দীনকে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব করা হয়। ২০২২ সালে সেখান থেকে অবসরে যাওয়ার পর তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হয় সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সদস্য পদে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর হেলালুদ্দীন আত্মগোপনে চলে যান। পরে ২৩ অক্টোবর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে।

রাতের ভোট নামে পরিচিতি পাওয়া ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন সচিব ছিলেন হেলালুদ্দীন আহমদ।

নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব হেলাল উদ্দিন আহমেদের রোষাণলে পড়ে চাকরিচ্যুত হয়েছিল আলোচিত দুদক কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিন। অভিযোগ রয়েছে, ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে সর্বোচ্চ সুবিধাভোগী এই হেলাল উদ্দিনসহ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ করেছিল সে সময়কার আলোচিত কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিন।

হেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে  কক্সবাজারে আওয়ামী দুর্বৃত্তদের বিভিন্ন প্রকল্পে শত শত কোটি টাকা লুটপাটে তার সহযোগিতা ও হাত রয়েছে।এছাড়াও লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে কয়েক হাজার রোহিঙ্গাকে ভোটার করার অভিযোগ রয়েছে হেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে। এসময় কক্সবাজারে নির্বাচন অফিসে সার্ভার বন্ধ থাকলেও হেলাল উদ্দিনের বিশেষ নির্দেশনায় সার্ভার ওপেন করে ওই ভোটার করা হয় বলে জানা গেছে।

Exit mobile version