Site icon দৈনিক এই বাংলা

বার্ষিক পরীক্ষার ফল পেয়ে বাঁধ ভাঙ্গা উল্লাসে মেতেছেন শিক্ষার্থীরা।

স্বপন রবি দাশ, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ডাঃ মহিউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের শহিদ মিনারের সামনে এ উল্লাসের দেখা মিলে।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বিদ্যালয়ের শহিদ মিনারের সামনে ৬ষ্ঠ-৯ম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক গভর্নিং বডির সদস্য সাইফ উদ্দিন তালুকদার শামীম।

সহকারী শিক্ষক কবিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় শিক্ষকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন মোছাঃ মনোয়ারা বেগম। অভিভাবকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন মোঃ আক্কাস মিয়া, মোঃ ফারুক মিয়া।

সভাপতির বক্তব্যের মাঝে ডাঃ মহিউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে ৯ম শ্রেণির পর্যন্ত বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির।

এর আগে শিক্ষার্থী মোছাঃ খালেদা পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত ও পূজা রানী গীতা পাঠের মাধ্যমে ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠান শুরু হয়।

সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ভাল ফলাফল অর্জন সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন শিক্ষক ও অবিভাবকরা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সহকারী শিক্ষক মোঃ বাবুল হোসেন, রফিকুল ইসলাম, অন্নপূর্ণা গুপ্তা, মোছাঃ নাজনীন বেগম, মোছাঃ তাহমিনা, মোঃ ইউনুস, নরেশ চন্দ্র, সারোয়ার আলম, মোঃ ইকবাল।

বার্ষিক পরীক্ষার ফল পেয়ে বাঁধ ভাঙ্গা উল্লাসে মেতেছেন শিক্ষার্থীরা। ভাল ফলাফলের জন্য শিক্ষক ও অবিভাবকদের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তাঁরা। যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠে দেশের কল্যাণে কাজ করার আশ্বাসও ছিল শিক্ষার্থীদের কন্ঠে। তবে এবারের পাশের হারে ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে মেয়েরা।

ডাঃ মহিউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে রেজাল্ট পেয়ে শিক্ষার্থীদের বাঁধভাঙ্গা এ উচ্ছাস। স্বপ্ন জয়ের। শিক্ষা জীবনের নানা বাঁধা ডিঙ্গিয়ে অবশেষে সাফল্য প্রাপ্তি, তাই আনন্দটাও একটু বেশি।

তারুণ্যের চোখে মুখে স্বপ্ন এখন বিশ্বজয়ের। এ অর্জনের মাহেন্দ্রক্ষণে উচ্ছ্বাস, আনন্দের ভিড়েও শিক্ষার্থীরা ভুলে যায়নি অভিভাবক আর শিক্ষকদের অবদানের কথা। সন্তানদের অর্জনে গর্বিত অভিভাবকরাও। সন্তানদের নিয়ে দিগন্ত জোড়া স্বপ্নের কথা জানান তাঁরা। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় ভালো ফলাফল অর্জন সম্ভব হয়েছে বলে জানান শিক্ষকরা।

গত বছরের তুলনায় এবার খুবই ভাল ফলাফল হয়েছে ডাঃ মহিউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে বলেও মন্তব্য করেন অভিভাবকরা।

Exit mobile version