Site icon দৈনিক এই বাংলা

সীতাকুণ্ডে অক্সিজেন প্লান্ট ট্রাজেডি, আরও একজনের মৃত্যু

::: নাদিরা শিমু :::

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সীমা রি রোলিং মিলের  অক্সিজেন প্ল্যান্টে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় আহতদের মধ্যে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এই শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭ জনে।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের  পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুর উল্লাহ আশেক জানান, রবিবার   রাত সাড়ে ১০টার দিকে আইসসিউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। ‘

জানা গেছে,  মারা যাওয়া ওই শ্রমিকের নাম প্রবেশ লাল শর্মা (৫৫)। তিনি সীতাকুণ্ড থানার ভাটিয়ারি ৬ নং ওয়ার্ডের মমতিলাল শর্মার বাড়ির মৃত মতি লাল শর্মার ছেলে। ওই অক্সিজেন প্ল্যান্টের অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি।

নিহতের ছোট ভাই নয়ন লাল শর্মা  বলেন, ‘গতকাল (শনিবার) বিকেলে প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের পর দাদাকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে আসি। তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আজ রাত সাড়ে ১০ টায় তিনি আমাদের ছেড়ে চলে যান।’

প্রসঙ্গত, শনিবার (৪ মার্চ) বিকেল চারটার দিকে চট্টগ্রামে সীতাকুণ্ডের কদম রসুল এলাকায় সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের পরপরই প্ল্যান্ট ও পাশের তিন তলা অফিস ভবনে আগুন লেগে যায়। ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৩২ জন। বিস্ফোরণের পরপরই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ফায়ার সার্ভিস, র‍্যাব ও সেনাবাহিনী।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে নিহত ছয়জনের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা এবং আহত ১৮ জনকে সাড়ে ৭ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

এই দুর্ঘটনায় নিহত অন্য ছয় জন হলেন—লক্ষ্মীপুরের কমলনগর এলাকার মহিজল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (৩৩), নেত্রকোনার কলমাকান্দা এলাকার খিতিশ রংদীর ছেলে রতন নকরেক (৫০), নোয়াখালীর সুধারাম এলাকার মৃত মকবুল আহমদের ছেলে মো. কাদের মিয়া (৫৮), সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকার মৃত বিম রুগার ছেলে সেলিম রিছিল (৩৯), একই এলাকার মৃত ইসমাইলের ছেলে শামসুল আলম (৬৫) এবং সীতাকুণ্ডের জাফরাবাদ এলাকার মৃত আবুল বশরের ছেলে মো. ফরিদ (৩২)।

 

Exit mobile version