বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ও হাটহাজারী পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী, প্রবর্তক ইসকন শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের অধ্যক্ষ লীলারাজ গৌর দাস ব্রহ্মচারীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়েরের প্রতিবাদে চট্টগ্রামসহ সারা দেশের জেলা ও বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ সমাবেশে হয়েছে।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) বিকাল নগরীর চেরাগী মোড়ে এই বিক্ষোভ সমাবেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আসা মিছিল বাধার অভিযোগ পাওয়া গেছে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে।
এর আগে বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল সহকারে চেরাগী মোড়ে আসতে চাইলে ডিসি হিল, জামাল খান মোড়, আসকারদিঘির পাড়, আন্দরকিল্লায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেন বিক্ষোভকারীরা।
সনাতন জাগরণ মঞ্চের সমন্বয়ক স্বতন্ত্র গৌরাঙ্গ দাস বলেন, আমরা প্রশাসনকে সময় দিয়েছি ৪ নভেম্বর পর্যন্ত, এর মধ্যে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ অন্যদের নামে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার না হয় তবে বিশ্বব্যাপী এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়বে।
তিনি আরও বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বিশ্বাসী। কিন্তু আজকের সমাবেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে বিভিন্নভাবে বাধা দেওয়া হয়েছে। বাধা দিয়ে লাভ হবে না। সনাতনীরা নিজেদের অধিকার আদায়ে মাঠে নেমেছে, তাদের ভয় নেই। দেখছেন নর নারী, শিশু, বৃদ্ধ সবাই রাজপথে নেমেছে তাদের অধিকার আদায় ও শান্তিতে এ দেশে বসবাস করতে। আমরা এ দেশের ভূমি সন্তান। আমাদের উৎখাত করা সহজ না। আমরা অধিকারের কথা বললে মিথ্যা মামলা দেবেন এই বিষয় সনাতনীরা সহ্য করবে না। ছাত্র-জনতা বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে জীবন দিয়েছে। সুতরাং আপনারা আবার নতুন কোনো বৈষম্য ও অন্যায় করবেন না। সময় আছে সনাতনীদের ৮ দফা বাস্তবায়ন করুন এবং মিথ্যা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা প্রত্যাহার করুন।
বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে নেতারা বলেন, মামলা দায়েরকারী ফিরোজকে যারা ইন্ধন দিয়েছে তাদের বের করুন। কারণ সে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করার পায়তারা করছে। ফিরোজকে আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করার দাবি করছি আমরা।
গত বুধবার রাতে নগরের কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করা হয়। মামলায় সনাতন জাগরণ মঞ্চের ২৫ অক্টোবর লালদীঘি মাঠে অনুষ্ঠিত সমাবেশ থেকে নিউমার্কেট মোড়ে অবস্থিত স্বাধীনতাস্তম্ভে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ করা হয়। মোহরা এলাকার বাসিন্দা ফিরোজ খান নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে এই মামলা করেন। আট দফা দাবিতে সনাতন জাগরণ মঞ্চ দুই মাস ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছে।