আল আমিন, নাটোর প্রতিনিধি :-
নাটোরে বিএনপির সমাবেশে হামলা ও সমাবেশ লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ ও গুলি ছোড়া অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় নাটোর জেলা বিএনপির আহবায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চুকে কুপিয়েছে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা।এছাড়াও হামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলসহ ৬ জন আহত হয়।
পরে আহত জেলা বিএনপির নেতা বাচ্চুসহ ৩ জনকে উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নিলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
আজ বুধবার সকাল ৯টার দিকে শহরের আলাইপুরে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে আলাইপুর রোডে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার দাবিতে নাটোরে আজ সকালে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ছিল। সমাবেশে যোগ দিতে জেলা বিএনপির আহবায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু আসছিলেন। এসময় শহরের সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এলে আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা তাকে এলোপাথারী কুপিয়ে চলে যায়। এতে তার পা-হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাত্ত জখম হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে কর্তব্যরত চিকিৎসক ।
এছারাও বিএনপির কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, পৌর সেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক চোপ্পল সাব্বির, শ্রমিক দলের দপ্তর সম্পাদক রফিকসহ ৬জন আহত হয়েছে।আওয়ামীলীগ ও
যুবলীগের সন্ত্রাসী বাহিনী এই হামলা করেছেন বলে দাবী করেছেন জেলা বিএনপির যুগ্ন-আহবায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন ।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান জানান, আজ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কোন কর্মসুচী ছিলনা। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা দলের কেউ না, বিএনপি থেকে আসা। একজন বিশেষ ব্যক্তির সন্ত্রাসী বাহিনী তারা। বিএনপির একজন সিনিয়র নেতাকে দিনের বেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে রাজপথে কুপিয়ে আহত করা, এমন ঘটনা খুবই দুঃখজনক। এ হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করছি। পুলিশ প্রশাসন কি করছে? তাদেরকে ধরছে না কেন? দল এজন্য দায় নিবেনা। এঘটনায় যারা জড়িত তাদের দ্রুত আইনের আওতায় নেওয়া হোক।
এ বিষয়ে নাটোর পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান, বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি আছে জেনে সকাল থেকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতয়েন ছিল। আমি ডিআইজি স্যারের সাথে রাজশাহীতে আছি, পথিমধ্যে হামলা হয়েছে শুনেছি। এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলেই আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।