Site icon দৈনিক এই বাংলা

ইফাদ আমার ছেলে নয় – ড. মতিউর

নিজস্ব প্রতিবেদক :::

পনের লাখ টাকার ছাগল কিনে বিতর্কের জন্ম দেয়া ইফাদ রাজস্ব বোর্ডের সদস্য ড. মতিউর রহমানের ছেলে নন বলে দাবি করেছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হবার পর  গণমাধ্যমকে এমন তথ্য জানিয়েছেন তিনি। 

ড. মোঃ মতিউর রহমান ( শুল্ক ও আবগারি) বিসিএস ১১ তম ব্যাচের কর্মকর্তা। ড. মতিউর রহমান বলেন,  আলোচিত ইফাত আমার ছেলে নন। এমনকি আত্মীয় বা পরিচিতও নন। আমার এক ছেলে; নাম তৈাফিকুর রহমান। আমি আনুষ্ঠানিকভাবে এসব অপ্রচারের প্রতিবাদ করবো।”

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোরবানির ছাগল ক্রয় নিয়ে তুমোল বিতর্কের জন্ম দেয়া ইফাদকে নিজের ছেলে নয় বলে দাবি করলেও তার সম্পদ নিয়ে মুখ খোলেন নি তিনি।

জানা গেছে, মতিউর রহমান একজন জাতীয় রাজস্ব কর্মকর্তা। বর্তমানে কাস্টমস আপিল ট্রাইব্যুনালের সভাপতি  । বেতন এক লাখ টাকার নীচে হলেও নামে বেনামে অজস্র সম্পদের মালিক বনে যাওয়া এই রাজস্ব কর্মকর্তা নিয়ে নানা তথ্য সামনে আসছে ।

অনুসন্ধানে জানা যায়, শুধুমাত্র বসুন্ধরাতেই মতিউর, তার স্ত্রী সন্তান, আত্মীয়দের নামে এবং বেনামে ৪০ টি প্লট রয়েছে । নরসিংদির বেলাবোতে ৪০ বিঘা জমির উপরে গড়ে তুলেছেন  আলিসান রিসোর্ট।

গাজীপুরে মতিউরের জুতার ফ্যাক্টরি রয়েছে। জুতার ফ্যক্টরির মালিকানায় তিনি নিজেই চেয়ারম্যান । গুলশান-২ এ শাহবুদ্দিন পার্কের উল্টোদিকে আনোয়ার ল্যান্ডমার্কের একটি ভবণে চারটি ফ্ল্যাট আছে তার। সংশ্লিষ্টদের মতে বাজার মুল্যে  ফ্ল্যাটগুলোর প্রতিটির প্রায় ৫ কোটি টাকা ।

ড. মতিউর রহমানের রয়েছে জেসিক্স নামে একটি যৌথ ডেভলপার কোম্পানি। নিজের নতুন প্রজেক্ট বসুন্ধরার আই ব্লকে। সুবহান এবি ( নিউ প্লট নাম্বার ৬৫৭ এ, ৬৫৭ বি)  এবং ৭১৬ রোড নাম্বার ৯-১০, যেখানে চলমান ১৪ তলা বাণিজ্যিক ভবনের  কাজ চলছে তার নিজস্ব ডেভলপার কোম্পানির তত্ত্বাবধানে।

সুত্রমতে, গুলশানের শান্তা প্রোপার্টিজের একটি ভবনে আটটি ফ্ল্যাট রয়েছে এই কাস্টমস কর্মকর্তার। এছাড়া
মতিউরের ছেলের বউয়ের বাচ্চার জন্ম হয়েছে আমেরিকার একটি হাসপাতালে।  সেখানে ডেলিভারী বাবদ তিন লাখ ডলার পরিশোধ করা হয়েছে।

মতিউরের একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আইডেন্টিফাই করেছে গোয়েন্দারা। সেখানে ১১৭ কোটি টাকা জমা আছে বলে তথ্য দিয়েছে।

সিঙ্গাপুর মালেয়শিয়া দুবাই ও আমেরিকায় বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এই সদস্য । নিজের স্ত্রী লায়লা কানিজকে বানিয়েছিলেন বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় উপজেলা চেয়ারম্যান। স্ত্রীর নামেও শত কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে বলে জানা গেছে।

Exit mobile version