Site icon দৈনিক এই বাংলা

রা‌জিবপু‌রে গৃহবধূ‌কে সংঘবদ্ধ ধর্ষ‌ণের অভি‌যো‌গে গ্রেফতার ২

নয়ন দাস,কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় বিচার না পেয়ে দম্পতির বিষপানের ঘটনার সাত দিন পর মামলা হয়েছে। ‘বিষপানে মারা যাওয়া’ গৃহবধূর মামা বাদী হয়ে শুক্রবার (৩১ মে) থানায় এজাহার দিলে পুলিশ নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা নথিভুক্ত করে। পরে রাতেই প্রধান আসামি জয়নাল কসাই ও তার সহযোগী আলম কসাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগের ধারা উল্লেখ করে শুক্রবার মধ্যরাতে (১ জুন) মামলা নথিভুক্ত করেছে পুলিশ। রাজিবপুর থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) আশিকুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় বিচার না পেয়ে দম্পতির বিষপানের ঘটনার সাত দিন পর মামলা হয়েছে। ‘বিষপানে মারা যাওয়া’ গৃহবধূর মামা বাদী হয়ে শুক্রবার (৩১ মে) থানায় এজাহার দিলে পুলিশ নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা নথিভুক্ত করে। পরে রাতেই প্রধান আসামি জয়নাল কসাই ও তার সহযোগী আলম কসাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগের ধারা উল্লেখ করে শুক্রবার মধ্যরাতে (১ জুন) মামলা নথিভুক্ত করেছে পুলিশ। রাজিবপুর থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) আশিকুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, বিষপানে অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়া গৃহবধূর মামা বাদী হয়ে চার জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। আসামিরা হলো- জয়নাল আবেদীন, শুক্কুর আলী, আলম হোসেন এবং সোলায়মান। তারা সবাই পেশায় কসাই। রাজিবপুরের বিভিন্ন বাজারে তাদের মাংসের দোকান রয়েছে। তাদের মধ্যে জয়নাল পাওনা টাকা আদায়ের নামে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে ধর্ষণের ভিডিও করে ওই গৃহবধূকে জিম্মি করে। এরপর অপর সহযোগীদের নিয়ে দিনের পর দিন সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন। গত রমজান মাস থেকে ওই গৃহবধূর ওপর এই পাশবিক নির্যাতন চলতে থাকে। স্থানীয় মাতব্বরদের কাছে বিচার না পেয়ে ক্ষোভ-অভিমানে গৃহবধূ ও তার স্বামী প্রকাশ্যে বিষপান করেন। চার দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে অর্থ সংকটে বাড়ি ফেরেন তারা। বুধবার (২৯ মে) বাড়িতেই মারা যান ওই গৃহবধূ।

ওসি আশিকুর রহমান বলেন, ‘মামলা হয়েছে। প্রধান অভিযুক্তসহ দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।’

এর আগে বুধবার ওই গৃহবধূ মারা যাওয়ার পর তড়িঘড়ি করে লাশ দাফনের উদ্যোগ নেয় অভিযুক্তরা। স্থানীয়দের বাধার মুখে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নেয়। কিন্তু অভিযুক্তদের যোগসাজশে অপমৃত্যু মামলা নথিভুক্ত করেন ওসি। এ নিয়ে গণমাধ্যমে ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশ হলে ভুক্তভোগীর মামা বাদী হয়ে থানায় এজাহার দেন। পরে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা নথিভুক্ত করার পাশাপাশি প্রধান আসামিসহ দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

আরও খবর: জাতীয় দৈনিক এই বাংলা পত্রিকার,আত্মহত্যা করার সেই গৃহবধুর সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরপরই দুই ধর্ষণকারীকে গ্রেফতার করেছেন রাজিবপুর থানা পুলিশ।

সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর মৃত্যুকে ‘আত্মহত্যা’বলছেন (ওসি)থানার গেট থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ ও তার স্বামীকে,পাওনা টাকার জন্য দুই মাস ধরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ দিনের পর দিন করে আসছে পরে গৃহবধূ সইতে না পেরে শেষ পর্যায়ে গৃহবধূ বিষপান করে আত্মহত্যা করেন তিনি।

Exit mobile version