Site icon দৈনিক এই বাংলা

আওয়ামী লীগ নেতার মাথা ফাটালেন এলডিপি নেতা কবির ও ঋণ খেলাপী জসিম

চন্দনাইশ প্রতিনিধি :::

পদ্মা ব্যাংকের আলোচিত ঋন খেলাপি চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী  জসিম উদ্দিনের ক্যাডার এলডিপি নেতা আইনুল কবির  এবার এক আওয়ামী লীগ নেতার মাথা ফাটালেন। সোমবার চন্দনাইশ কলেজ গেটে হামলার শিকার হওয়া আওয়ামী লীগ নেতার নাম আব্দুল হালিম।  

খোঁজ নিয়ে জানা যায় হাশিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিমের বড় ভাই আবদুল আলীম। হামলায় মারাত্মক আহত হন আবদুল হালিম। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি আবু আহমেদের (ঘোড়া) সমর্থক। আইনুল কবির চন্দনাইশ উপজেলা এলডিপির সভাপতি। তার বিরুদ্ধে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের একাধিক মামলা রয়েছে।

হাশিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম বলেন, ‘ আমার ভাই নির্বাচনী মাঠে ঘোড়া প্রতীকের সমর্থনে কাজ করছে। একারণে এলডিপি নেতা আইনুল কবির ও জসিম উদ্দিনের নির্দেশে তার উপর হামলা চালিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয়া হয়েছে। হামলায় মারাত্মক আহত হন আমার ভাই।  ‘

স্থানীয়রা জানান, সোমবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে হাইকোর্ট আবু আহমেদের প্রার্থীতা বাতিলের আদেশ স্থগিত করেছে এমন খবরে ঘোড়া প্রতীকের সমর্থকরা আনন্দ মিছিল বের করে। সেখানে অতর্কিত হামলা চালিয়ে হালিমের মাথা ফাটিয়ে দেয়া হয়। আহত হালিমকে সন্ধ্যায়  চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসকরা জানান, তার অবস্থা আশংকাজনক। এবিষয়ে হালিমের পরিবারের পক্ষ থেকে চন্দনাইশ থানায় মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাঁশখালীর তৈলার দ্বীপ সেতুর ইজারাদার  আইনুল কবির টোল আদায়কে কেন্দ্র করে স্থানীয় সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান সিআইপিকে নিয়ে কটুক্তি করে আলোচনায় আসেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক মানববন্ধন করে বাঁশখালীর সাধারণ মানুষ। আমরা বাঁশখালী নামের একটি সংগঠন তাকে গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন করে।

এদিকে,  ঋন খেলাপি প্রার্থী জসিমের প্রার্থীতা বহাল রাখায় ক্ষুব্ধ পদ্মা ব্যাংক পিএলসির খাতুনগঞ্জ শাখা। তারা বলছে, এই ‘খেলাপী গ্রাহকের’ বর্তমান সুদ আসলে ঋণ দাঁড়িয়েছে ৯৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা। তাই জসিম উদ্দিন আহমদের প্রার্থীতা বাতিল চায় শাখাটি। এমন আহ্বান জানিয়ে আবেদন করা হয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও চট্টগ্রাম অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসারের নিকট।

জানা যায়, আগামী ২৯ মে ৩য় ধাপে অনুষ্ঠিত হবে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এই ধাপে হবে চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। এতে চেয়ারম্যান পদের জন্য চারজন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন জমা দেন। কিন্তু মাঝ পথে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান আরিফুল ইসলাম চৌধুরী। বর্তমানে মাঠে রয়েছেন আলহাজ্ব জসীম উদ্দীন আহমেদ, আবু আহমেদ চৌধুরী, আহম্মদ হোসেন। এর মধ্যে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে রোববার (২৬ মে) দুপুরে আবু আহমেদ চৌধুরীর প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। বাতিলের একদিন পর প্রার্থিতা ফিরে পেলেন চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু আহমদ চৌধুরী জুনু। সোমবার (২৭ মে) আবু আহমেদ চৌধুরী জুনুর করা এক রিটে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

Exit mobile version