Site icon দৈনিক এই বাংলা

রাঙামাটিতে কয়েকশো পরিবারকে ভূমিহীন করার চেষ্টা ; বিক্ষোভ

মো. সোহরাওয়ার্দী সাব্বির, রাঙামাটি

রাঙামাটি শহরের রূপনগর এলাকায় কোনো প্রকার পূর্নবাসন বা ক্ষতিপূরণ নাদিয়ে কয়েকশো পরিবারের একমাত্র বসতভিটাকে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের নামে বন্দোবস্তী প্রদান করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয়রা।

সোমবার  (১৭ ফেব্রুয়ারী)  দুপুরে আঞ্চলিক পরিষদের পক্ষ থেকে রূপনগর এলাকায় ভবন নির্মাণ কাজের লে-আউট দিতে গেলে সেখানে বসবাসরত কয়েকশো নারী-পুরুষ একত্রিত হয়ে বাধা প্রদান করে বিক্ষোভ করতে থাকে।

এসময় পুলিশের উদ্ধর্তন কর্মকর্তাগণসহ আঞ্চলিক পরিষদের প্রতিনিধিবৃন্দ সেখানে উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভকারিদের দাবি শুনেন। পরবর্তীতে স্থানীয়দের বাধারমুখে লে-আউট কার্যক্রম বাস্তবায়ন না করেই ঘটনাস্থল থেকে আঞ্চলিক পরিষদের প্রতিনিধিবৃন্দ ফিরে যেতে বাধ্য হয়।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, পাহাড়ি অঞ্চলের নিয়মানুসারে ১০ থেকে ১২ বছর জঙ্গল পরিস্কার করে বসবাস করলেই ভূমি বন্দোবস্ত পাওয়ার নিয়ম থাকলেও বিগত কয়েক দশক ধরেই পার্বত্য রাঙামাটিতে ভূমি বন্দোবস্ত কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তাই এখানকার বাসিন্দারা ভূমি বন্দোবস্ত প্রাপ্ত থেকে বঞ্চিত রয়েছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রূপনগরের কয়েকশো পরিবারের একমাত্র বসত ঘরের ভিটে-মাটি রহস্যজনকভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের নামে বন্দোবস্ত দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সোমবার কাউকে কোনো কিছু না জানিয়ে এবং নোটিশ প্রদান না করেই একতরফাভাবে আঞ্চলিক পরিষদের পক্ষ থেকে রূপনগরে ভবন নির্মানকাজের লে-আউট দিতে আসলে স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ শুরু করে। এসময় বিক্ষোভকারিদের আন্দোলনের মুখে লে-আউট কার্যক্রম বাস্তবায়ন না করেই ফিরে যায় সংশ্লিষ্ট্যরা। বিক্ষোভকারিরা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুসারে একজন মানুষও ভূমিহীন থাকবে না, এমন সিদ্ধান্ত থাকলেও প্রতারনার মাধ্যমে রূপনগরের কয়েকশো পরিবারকে ভূমিহীন করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। ভিটেমাটি হারিয়ে কোথায় যাবেন এই কয়েকশো পরিবার। এমন প্রশ্ন করে বিক্ষোভকারিরা বলেন তাদের একমাত্র বসতভিটা রক্ষায় যা যা করনীয় তার সবকিছুই তারা করবেন।
এদিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা আঞ্চলিক পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা সুবর্ণা চাকমা জানান, আমরা এখানে এসে বেশ কিছু ঘরবাড়ি দেখতে পেয়েছি। স্থানীয়রা বাধাও দিয়েছেন। তাই আমরা সকলকে সাথে নিয়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বৈঠক করে এর একটা সমাধান বের করবো।

Exit mobile version