ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-২ আসন থেকে নির্বাচিত হন স্বতন্ত্র প্রার্থী নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল। নির্বাচনী ফলাফল ঘোষনার পর থেকেই চলছে নৌকাকর্মী সমার্থকদের উপর হামলা-ভাংচুরসহ নানা ধরনের অভিযোগ উঠেছে।
ভোটের দীর্ঘ একমাস অতিবাহিত হলেও কোনভাবেই বন্ধ হচ্ছেনা ১৫ নং কালিচরণপুর ইউনিয়নের নির্বাচনী সহিংসতা।
এতে আওয়ামী লীগ সামর্থকরা অভিযোগ বলছেন, তাদের শত শত নেতাকর্মী ভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে আছেন। জোর করে দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা দেওয়া হয়েছে।
তারা বলেন, এরআগে ঝিনাইদহ সদরের হামদহ এলাকায় নৌকা মার্কার সমার্থক বরুন কুমার ঘোষকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পরে এই নৃশংস হত্যাকান্ডকে রাজনৈতিক হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য ভিন্নখাতে নেওয়ার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে একশ্রেনীর রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
তারা আরও বলেন, ইতিমধ্যে ঝিনাইদহ সদর ও হরিনাকুন্ড উপজেলার নির্বাচনী পরবর্তী সহিংসতা কমে গেলেও কোনভাবেই বন্ধ হচ্ছেনা সদর উপজেলার ১৫ নং কালিচরনপুর ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের সমার্থকদের উপর হামলা। একের পর এক কুপিয়ে পিটিয়ে জখম করা হচ্ছে আওয়ামীলীগ তথা নৌকার সমার্থকদের।
অব্যাহত হামলার ঘটনায় বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টায় মেম্বার আলমগীরকে পরিষদে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা।
মেম্বার আলমগীর অভিযোগ করে বলেন, আমিসহ অনেকে নৌকার প্রার্থীর ভোটের পরের দিন থেকে পলাতক।হামলার ভয়ে আমি পালিয়ে আছি। কিন্তু মাসিক মিটিংয়ের কথা বলে চেয়ারম্যান আমাকে পরিষদের সচিবকে দিয়ে ফোন করে সমস্যা হবেনা বলে মিটিং এ আসতে বলে। মিটিং শেষ হলে চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীরের নির্দেশেই তার গুন্ডাবাহিনী ঈগলের সমার্থকরা আমাকে কুপিয়ে পিটিয়ে জখম করে ।
এব্যাপারে চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীরকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি। সহিংসতার ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোন অভিযোগ বা মামলা হয়নি বলে ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহিন উদ্দিন জানান।
এই বাংলা/এমপি