Site icon দৈনিক এই বাংলা

ঝিনাইদহের চলছে সরকারি গাছ কাটার মহোৎসব (ভিডিও)

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

জেলার হরিণাকুন্ড উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের হাকিমপুর এবং শিতেলী পাড়ার জিকে সেচ প্রকল্পের প্রায় সাত থেকে আঁট কিলোমিটার গজারিয়া খালের সরকারি গাছ কেটে সাবাড় করেছে একটি প্রভাবশালী মহল।

হরিণাকুন্ড থানার হাকিমপুর মাঠের মধ্য অবস্থিত গজারিয়া খালের পাড়ের গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে এমন তথ্যের অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিন দেখা যায়, সেখানে খালের দুই পাড়ের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কাটার মহাউৎসব চলছে।

এ সরকারি গাছ কেটে কে বা কাহারা পরিবেশ ধ্বংস ও দেশের আর্থিক ক্ষতি সাধন করছে এমন প্রশ্নের জবাবে উপস্থিত গাছ ব্যবসায়ী নান্নু এবং তার শ্রমিকরা জানায়, মেম্বার ওহিদুল এবং কুলচারার কাঠ ব্যবসায়ী কুদ্দুস আমাদের নিকট এই গাছ বিক্রয় করেছে। আমরা তাদের নিকট থেকে গাছ কিনেছি। আপনারা তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করেন যে তাদের পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনুমতি আছে কিনা।

এব্যাপারে মেম্বর ওহিদুল এবং কাঠ ব্যবসায়ী কুদ্দুসের নিকট গাছ কাটার কোন অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে তাঁরা বলেন, গাছ আমরা লাগিয়েছি। এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড আমাদের অনুমতি দিয়েছে।

এদিকে ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় সহকারী প্রকৌশলী সুনীল কুমার ভদ্র বলেন, আমাদের সাথে কোন ব্যক্তি বিশেষের খালের গাছ কাটার ব্যাপারের চুক্তি হয়নি। তবে এব্যাপারে আমাদের নিকট একটি মোখিক অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা হরিণাকুন্ড থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী দায়ের করেছি। এবং এবিষয়টি নিয়ে এলাকাভিত্তিক দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছে উপ-সহকারি প্রকৌশলী সেলিম রেজা। আপনারা উনার সাথেও কথা বলেন।

এঘটনা নিয়ে উপ-সহকারী প্রকৌশলী জানায়, আমরা গাছ কর্তনের খবর পেয়ে সেখানে লোক পাঠিয়েছি। এবং তদন্তপূর্বক হরিণাকুন্ড থানায় গেল বছরের ২৪ ডিসেম্বর একটি সাধারণ ডায়েরী এবং এ বছরের ২৫ জানুইয়ারি আরেকটি অভিযোগ দায়ের করেছি।

সরকারি গাছ কেটে উজাড় করে এভাবে পরিবেশ বিনষ্টকারী এবং আর্থিক ক্ষতি সাধনকারীর বিরুদ্ধে কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে কিনা সেব্যাপারে হরিণাকুন্ড থানার অফিসার ইনচার্জ জিয়াউর রহমান জানান, আমি ছুটিতে ছিলাম বিষয়টি অবগত নই। খোঁজ খবর নিয়ে জানাচ্ছি।

সরাকারি গাছ কেটে নিয়ে পরিবেশ বিনষ্টকারী এবং সরকারি সম্পদ লোপাটকারীদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ পেয়েও যথাযথ কতৃপক্ষ দৃশ্যমান কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন না করায় সুশীল সমাজ ও সাধারন মানুষের মাঝে তিব্র ক্ষোভ এবং সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে।

এই বাংলা/এমপি

Exit mobile version