নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় স্ত্রীর গলা কেটে হত্যা করে এক স্বামী আত্মহত্যা করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে এ ঘটনা ঘটতে পারে।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) হিসজেলাশহর মাইজদীর বসুন্ধরা কলোনীতে (বার্লিন টন মোড়) এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত মেহেদী হাসান শুভ (২০) উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের দুলাল মিয়ার ছেলে ও তামান্না ইসলাম প্রিয়া (১৬) পৌর এলাকার লিটনের মেয়ে। স্বামী-স্ত্রীর ছাড়াও সম্পর্কে তারাখালাতো ভাই-বোন ছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তারা প্রেম করে ছয় মাস আগে বিয়ে করে। বিয়ের পর মাইজদীর বসুন্ধরা কলোনীতে শাশুড়ির বাসায় থাকতেন শুভ। নিহত শুভ বিদেশে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি স্বরূপ ড্রাইভ প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল এবং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করে। গতকাল রোববার তামান্নার ৪ বছরের ছোট ভাই অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়, সেখানে রাতে তামান্নার অপর এক ভাই, বাবা মাও ছিলেন। বাসায় সেসময় শুভ ও তার স্ত্রী ছিল। সোমবার সকালে তামান্নার ভাই হোসেন আহমেদ নোমান হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরে দরজায় কড়া নেড়ে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে পাশ্ববর্তী বাসায় খবর দেয়। তখন পাশের বাসা থেকে জানালা দিয়ে শুভর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় তারা। সেসময় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করেন তামান্নার ভাই খবর পেয়ে সুধারাম মডেল থানার পুলিশ তাদের দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে।
ঘটনার খবর পেয়ে সুধারাম মডেল থানা পুলিশ সি আইডির ডিপি পিবি আইসহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থার টিম সেখানে পৌঁছে ঘটনার রহস্য উদঘাটন কার্যক্রম শুরু করে।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, নিহত প্রিয়ার গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে, ধারণা করা হচ্ছে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। প্রাসঙ্গিকভাবে তাঁর ধারণা পারিবারিক কলহের জের ধরেই এ ঘটনা ঘটেছে। তবে পুলিশ মূল রহস্য উদঘাটনের কাজ শুরু করেছে। দ্রুত এর মূল রহস্য জানা যাবে। ময়না তদন্তের জন্য লাশ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এই বাংলা/এমপি