Site icon দৈনিক এই বাংলা

কেশবপুরে প্রাইভেট ক্লিনিকে স্বাস্থ্য সেবার নামে প্রতারনা

হারুনার রশীদ বুলবুল,  

যশোরের কেশবপুরে অলিতে গলিতে গজিয়ে ওঠা প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোতে স্বাস্থ্য সেবার নামে চলছে প্রতারনা। পথে বসিয়ে দিচ্ছে দূর দুরান্ত থেকে চিকিৎসা নিতে আসা সাধারন মানুষদের। এ সকল ক্লিনিক গুলোতে কোন প্রকার নিয়মনীতির বালাই নেই। অনিয়মকেই নিয়ম হিসেবে চালিয়ে দিয়ে ক্লিনিকের মালিকরা অল্প দিনেই কোটিপতি বনে যাচ্ছেন।

জানা গেছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইসেন্স নিয়ে ও লাইসেন্স বিহীনভাবে কেশবপুরের অলিতে গলিতে গড়ে ওঠেছে ৮ টি প্রাইভেট ক্লিনিক। প্রভাবশালী সিন্ডিকেট, জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় ও বিএমএর কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা এবং ডাক্তারদের কারণে এসব প্রাইভেট ক্লিনিক তাদের অবৈধ ব্যবসা চলিয়ে যাচ্ছে। কোন অঘটন ঘটলেই ওই সিন্ডিকেটের মধ্যস্থতায় তা ধামাচাপা দেওয়া হয়। ফলে এ পর্যন্ত কোন ঘটনাই স্থানীয়ভাবে অভিযোগ বা মামলা পর্যন্ত গড়াতে পারছে না। ১/২ টি ঘটনা লোক দেখানো তদন্ত কমিটি করা হলেও সেই তদন্ত কমিটির রিপোর্ট নিয়ে চলে নানা রকম তালবাহানা। অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ৮০ শতাংশ ক্লিনিকে নেই।

জানা গেছে, ক্রিষ্টাল ডায়াগনষ্টিক সেন্টার এন্ড হাসপাতাল, কেশবপুর মডার্ন হাসপাতাল, কপোতাক্ষ সার্জিকাল ক্লিনিক, মহাকবি মাইকেল ক্লিনিক, হোসেন ক্লিনিক এন্ড প্যাথলজি, কেশবপুর সার্জিকাল ক্লিনিক, হেলথ কেয়ায় হসপিটাল লিমিটেড, মার্তৃমঙ্গল ক্লিনিক নামে ৮ টি প্রাইভেট ক্লিনিক রয়েছে। এসকল ক্লিনিকগুলো বিভিন্ন রকম চটুকারদের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে রোগিদের আকৃষ্ট করে আসছে। অভিযোগ আছে, সর্বরোগের চিকিৎসা প্রদানকারী এসকল ক্লিনিকগুলোতে একজন রোগি চিকিৎসা সেবা নিতে আসলেই তার হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয় ৫/৬ টি পরীক্ষা। কিন্তু ২/৩ টি ক্লিনিক বাদে কোন ক্লিনিকেই সার্টিফিকেট বা ডিপ্লোমাধারী টেকনিশিয়ান না থাকায় প্রায়ই ভূল রিপোর্টের কারণে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় অসহায় রোগিদের। তাছাড়া ইতিপূর্বে একই রিপোর্ট বিভিন্ন ক্লিনিকের আলাদা আলাদা হওয়ার ঘটনাও এ সকল ক্লিনিকে ঘটেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ইতিপূর্বে অনেক সমস্যা ছিলো। আমি নিয়মিত তদারকি করছি। এখন অনেকটা স্বচ্ছভাবে এসব ক্লিনিকগুলো সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে চলেছে। তারপরও কোন অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই বাংলা/এমপি

 

Exit mobile version