বরিশাল প্রতিনিধি :
দুই দশক পেরিয়ে গেলেও বরিশাল সিটি করপোরেশন আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্থাপন করতে পারেনি। ৫৮ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ শহরে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে বর্জ্যের পরিমাণ। কিন্তু ব্যবস্থাপনা এখনও পুরনো পদ্ধতিতে চলছে।
দৈনিক এই বাংলার সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
বর্তমানে শহরের ৩০টি ওয়ার্ডে প্রতিদিন প্রায় ২০০ টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়, যা ফেলা হচ্ছে ৩নং ওয়ার্ডের পুরানপাড়া এলাকার উন্মুক্ত ভাগাড়ে। এর ফলে দুর্গন্ধ এবং দূষণের কারণে এলাকাবাসী মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন।
পুরানপাড়ার বাসিন্দা হামিদা বেগম বলেন, “১০ বছর আগে কম দামে জমি কিনে এখানে বাড়ি করেছি। এখন শ্বাস নেওয়াও কষ্টকর, প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়ি। বিক্রি করতে চাইলে কেউ কিনতে চায় না।”
লিপি আক্তার জানান, ভাগাড় সরানোর দাবিতে মানববন্ধন ও আবেদন করেও কোনো ফল মেলেনি।
ঝালকাঠি পৌরসভাতেও একই সমস্যা দেখা দিয়েছে। নির্ধারিত ডাম্পিং স্টেশন না থাকায় পৌর কর্তৃপক্ষ ময়লা নদীতে ফেলে দিচ্ছে। এর ফলে সুগন্ধা ও বাসণ্ডা নদীর পানি মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে।
স্থানীয় উন্নয়নকর্মী মাহাবুব হোসেন সৈকত বলেন, “নদীতে ফেলা প্লাস্টিক ও বর্জ্য মাছ খেয়ে ফেলে, সেই মাছের মাধ্যমে বিষক্রিয়া মানুষের শরীরে প্রবেশ করছে।”
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)-এর বিভাগীয় সমন্বয়কারী লিংকন বায়েন বলেন, “বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে বহুবার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, কিন্তু বাস্তবে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায়নি।”
তবে বরিশাল সিটি করপোরেশনের সচিব রুপ্পা সিকদার জানান, নতুন ডাম্পিং স্টেশনের জন্য উপযুক্ত স্থান খোঁজা হচ্ছে এবং কোরিয়ার প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এছাড়া বর্তমান ভাগাড় ঘিরে দেয়াল নির্মাণ এবং সড়ক সংস্কারের কাজও সম্পন্ন হয়েছে।
এই বাংলা/এমএস
টপিক
