নিজস্ব প্রতিবেদক :::
নির্বাচনের সার্বিক দিক মূল্যায়ন করে গেজেট প্রকাশের আগেই চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনে বিজয়ী প্রার্থী আবদুচ ছালামের প্রার্থিতা বাতিলের জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি দাবি জানান বিজয় কুমার চৌধুরী।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে সোমবার (৮ জানুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, জাল ভোট দিয়ে কেটলি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুচ ছালাম আমার বিজয় ছিনতাই করেছে। আমার এজেন্টদের ভয়ভীতি দেখানোর চেষ্টা করেছে।
বিজয়ের অভিযোগ, নির্বাচন চলার সময় সকাল ১০টার পর থেকে আবদুচ ছালাম বিএনপি-জামায়াত কর্মীদের সহায়তায় বহদ্দারহাট থেকে শুরু করে মোহরা পর্যন্ত দফায় দফায় টায়ার পোড়ানো, পাথর নিক্ষেপসহ ভীতিকর কর্মকাণ্ড ঘটান এবং ত্রাসের পরিবেশ কায়েম করেন। চান্দগাঁও ওয়ার্ডে আমার ১০ হাজার ৭০৮ ও মোহরা ওয়ার্ডে ৮ হাজার ৭৬৭ জন সংখ্যালঘু ভোটার ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেনি। বিএনপিকে হাত করে তারা এ কাজগুলো করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। বোয়ালখালী উপজেলার সারোয়াতলী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইউপি সদস্য সুরেশ চৌধুরীকে মারধর করেছে উনার অনুসারীরা। সে এখনো হাসপাতালে ভর্তি।
আমি এগুলো নির্বাচন কমিশনে আগেই জানিয়েছি। তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। প্রয়োজনে আমি হাইকোর্টে যাব। নির্বাচন হয়েছে একতরফা এবং সংঘাতময় পরিস্থিতিতে। প্রশাসনের ভূমিকাও ছিল রহস্যময়। দফায় দফায় অভিযোগ নিয়েও কোনো সহযোগিতা কিংবা প্রতিকার পাইনি।
শিল্পপতি আবদুচ ছালাম চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ। তিনি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) সাবেক চেয়ারম্যান। ২০০৮ সালে তিনি এ আসন থেকে মনোনয়ন পেলেও পরে ১৪ দলীয় জোটের শরিক জাসদের নেতা মঈনউদ্দিন খান বাদলকে আসনটি ছেড়ে দেওয়া হয়।
বিজয় কুমার চৌধুরীও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য। বোয়ালখালীর বাসিন্দা বিজয় চসিকের জামালখান ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর।