Site icon দৈনিক এই বাংলা

পুরো চট্টগ্রামে চ্যালেঞ্জিং বিজয় সনির

নিজস্ব প্রতিবেদক :::

দলের বাঘা বাঘা নেতাদের মতামতকে চ্যালেঞ্জ করে ভোটের মাঠে নিজের সাংগঠনিক ক্ষমতা দেখালেন প্রয়াত সাংসদ রফিকুল আনোয়ারের মেয়ে খাদিজাতুল আনোয়ার সনি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে  ফটিকছড়ি আসন থেকে নৌকার টিকেটে তার ভূমিধস বিজয় চট্টগ্রামে নারী রাজনীতিবিদদের জন্য নতুন সম্ভাবনার ধার খুলে দিয়েছে। 

 নগর ও জেলা মিলে ১৬ আসনে একমাত্র নারী হিসেবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন খাদিজাতুল আনোয়ার সনি। নিজ দল, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের রাজনৈতিক দলের নানা মেরুকরণসহ নির্বাচনী নানা কৌশল, ষড়যন্ত্র, চাপের মুখেও নতি স্বীকার না করেই ব্যাপক গণসংযোগ করেন তিনি।

কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ থেকে জোটবদ্ধ আন্দোলনের কৌশলের কারণে ভোটের এক সপ্তাহ আগে তাকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্তও নেয়া হয়েছিলো৷ ধর্মীয় বলয়কে জোটের প্রতি সহানুভূতিশীল করার অজুহাতে নৌকার প্রার্থীকে জলাঞ্জলী দেবার কূটকৌশলের বলি হচ্ছিলেন তিনি৷ কিন্তু চরম সংকটাপন্ন মুহুর্তেও ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে ভোট চেয়ে ধন্না দেন। প্রচারণায় তুলে ধরেন নিজের রাজনৈতিক পরিবারের বিশেষ করে বাবা রফিকুল আনোয়ারের নানা সমাজসেবার কথা। ভোটারদের মন যোগাতে কতটুকু সক্ষম হলেন সেটি প্রমাণ হয়েছে ভোটের চুড়ান্ত হিসেবে নিকেশে৷ 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় তার করুণ আর্তি। অবশেষে ভোটারদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন তিনি।

চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে ১৪২ কেন্দ্রে খাদিজাতুল আনোয়ার সনি (নৌকা) পেয়েছেন ১ লাখ ৬৮৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী হোসাইন মোহাম্মদ আবু তৈয়ব (তরমুজ) পেয়েছেন মাত্র ৩৬ হাজার ৫৬৬ ভোট। যাকে আসনটি ছেড়ে দেবার সিদ্ধান্ত ছিলো সেই সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ (একতারা) পেয়েছেন ৩ হাজার ১৫১ ভোট।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের একমাত্র নারী-প্রার্থী খাদিজাতুল আনোয়ার সনির বিজয়ে উৎফুল্ল পুরো চট্টগ্রাম। সেই আনন্দে ভাসছেন সাংবাদিক, পেশাজীবি থেকে শুরু করে রাজনৈতিক বলয়গুলো।  দলমত নির্বিশেষে সব শ্রেণী পেশার মানুষ খাদিজাতুল আনোয়ার সনির বিজয় উদযাপনে মেতেছেন

তবে ভোটের মাঠে সকাল থেকে শ্রমিক অধ্যুষিত এলাকা বাগানবাজার, হারুয়ালছড়ি,দ. রাঙ্গামাটিয়ার ভোট কেন্দ্রর  নারী শ্রমিকদের দীর্ঘ লাইন নৌকার বিজয়ের আভাসই দিচ্ছিলো। 

Exit mobile version