Site icon দৈনিক এই বাংলা

কেশবপুরে  হরমনযুক্ত  ড্রাগন ফল বিত্রুির অভিযোগ

হারুনার রশীদ বুলবুল ,কেশবপুর(যশোর): কেশবপুরে যত্রতত্র হরমনযুক্ত বিষাক্ত ড্রাগন ফল বিত্রুির অভিযোগ উঠেছে।জানা গেছে কেশবপুরে অবাধে বিক্রি করা হচ্ছে মানবদেহের জন্য উচ্চ পরিমাণে ক্ষতিকর হরমনযুক্ত বিষাক্ত ড্রাগন ফল।
এগুলো বিক্রি বন্ধের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী সচেতন মহল।কেশবপুর উপজেলার বিভিন্ন হাটেবাজারে ও পৌর শহরে অবাদে বিক্রি করা হচ্ছে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বিষাক্ত হরমোন যুক্ত ড্রাগন ফল।
এই সমস্ত ড্রাগনফল খেয়ে উপকারের চেয়ে মানবদেহের জন্য ক্ষতির পরিমাণ হচ্ছে অনেক বেশি।  বুধবার ১৩ ডিসেম্বর সকালে ও বিকেলে কেশবপুর পৌর শহরের বিভিন্ন ফলভান্ডার ঘুরে দেখা গেছে, সকল ড্রাগন ফল বিক্রি করা হচ্ছে তা সাভাবিকের চেয়ে আকারে অনেক বড়।
আর এই গুলো গাছে থাকা অবস্থায় ড্রাগনের পিছনের অংশের ফুল তুলে আকারে অনেক বড় করে তৈরি করার জন্য তিন দফা বিষক্রিয়া হরমোন স্প্রে করে থাকে।
কেশবপুর পৌর শহরের পাঁজিয়া সড়কের ফল বিক্রেতা অসিত কুমার এ প্রতিনিধি কে জানান,আগে প্রকৃত ড্রাগনফল পাওয়া যেতো এখন সে গুলো আর বাজারে পাওয়া যায় না।
এখন যা বিক্রি করা হচ্ছে এগুলো গাছে থাকা অবস্থায় এক ধরনের মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর হরমোন স্প্রে করে আকারে অনেক বড় তৈরী করে তা বিক্রি করা হচ্ছে।
বিষ মুক্ত একটি ড্রাগনের ওজন হয়ে থাকে ২০০ থেকে ২৫০ গ্রাম। আর হরমোন স্প্রে করা একটি ড্রাগনের ওজন ৮০০ গ্রাম থেকে এক কেজির বেশি হয়ে থাকে।
আগে একটি ড্রাগন ফল বিক্রি করা হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। আর এখন ক্ষতিকর হরমোন স্প্রে করা একটি ড্রাগন ফল বিক্রি করা হচ্ছে ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা।
কেশবপুরে অসাধু ড্রাগন ফল চাষি ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা অধিক লাভের আশায় মানবদেহের জন্য অধিক পরিমাণে ক্ষতিকর হরমোন স্প্রে করে আকারে অনেক বড়ো করে তা বিক্রি করছে।অধিকাংশ ফল ব্যবসায়ীরা বলেন,তারা জানে না ড্রাগন ফল আগের চেয়ে আকারে এতো বড় করা হয়েছে কি ভাবে আর এর কি কি ক্ষতি হয়ে হয়ে থাকে।
কেশবপুর পৌর শহরের রায় জুয়েলার্সের মালিক কার্তিক চন্দ্র রায়,গৌরিঘোনা গ্রামের মজিবার রহমান,মোটরসাইকেল চালক বুকুল হোসেন,ব্রক্ষকাটি গ্রামের শওকত আলী,সাতবাড়িয়া গ্রামের রাজিব চৌধুরী সহ অনেকে এ প্রতিনিধি কে বলেন,ক্ষতিকর বিষযুক্ত হরমোন স্প্রে করে তৈরী করা বড় আকারে ড্রাগন ফল খাইলে মানবদেহে মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে।
শহরের এএসএইচকে সাদেক সড়কের অসাধু ফল ব্যবসায়ী ভাই ভাই তাজা ফল ভান্ডারের মালিক আবুল হোসেন,ফল বিক্রেতা ফারুক হাসান, ত্রিমোহীনি মোড়ের নিরজ্ঞন ফলভান্ডারের নিরজ্ঞন কুমার দাস তারা জেনে বুঝে অধিক লাভের আশায় দীর্ঘদিন দিন ক্ষতিকর ড্রাগন ফল বিক্রি করে চলেছে।
এ ব্যাপারে কেশবপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ তানভির হোসেন বলেন,কৃত্রিম উপায় তৈরী করা ড্রাগন ফল মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বলে শুনেছি।কিন্তু ভোক্তা অধিদপ্তরের কোনো নির্দেশনা পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যেতো।
তবে এবিষয়ে ভোক্তা অধিদপ্তরের কতৃপক্ষ কে আগে এগিয়ে আসা প্রয়োজন বলে মনে করেন অনেকে।
Exit mobile version