বিশেষ প্রতিনিধি ::
নজরদারির অভাবে রাজধানী ঢাকার উত্তরা আবাসিক এলাকায় আবাসিক ভবনে বেড়েছে বাণিজ্যিক ব্যবহার। ২০১৯ সালে রাজধানীর গুলশান, বনানী ও বারিধারা, উত্তরা এলাকার কোনো আবাসিক ভবনের পার্কিংয়ের স্থান বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছিলো হাইকোর্ট। হাইকোর্টের সেই নির্দেশনা না মেনে আবাসিক ভবনে চলছে বানিজ্যিক কার্যক্রম।
রাজউকের নথি অনুযায়ী রাজধানীর উত্তরার ৩ নং সেক্টরের ১৫ নং রোড়ের ৪৫ নং বাড়িটি আবাসিক ভবন হিসেবে দেখানো হলেও, বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে ভবনটি। পশ্চিমাধীন আজমপুর রবীন্দ্রসরনী রোডে অবস্থিত এই বাড়ি মালিক ফরহাত আজমের দেয়া আমমোক্তারনামা অনুযায়ী বাণিজ্যিকভাবে বাড়িটি ব্যবহার করছেন নন্দনকানন হাউজিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদ। রাউজক উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ থেকে ২টি বেজমেন্টসহ ১৪ (চৌদ্দ) তলা আবাসিক ভবন নির্মানের অনুমোদন গ্রহণ করে নির্মাণ কাজ শেষ করে নন্দনকানন হাউজিং। রাজউকের (স্মারক নং ২৫.৩৯.০০০০.১১৬.৩২.৩০০.২৩.৩৭৭ ) নথি অনুযায়ী উত্তরা জোন ২/১ এর অধীনে উত্তরা আজমপুরের এই বাড়ি আবাসিক (বাড়ি নং ৪৫) শ্রেণীর।
সরেজমিনে দেখা যায়, নিয়ম বহির্ভূতভাবে বানিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে বাড়িটি। নিচ তলায় সুইট শোরুম রয়েছে। প্রতিটি ফ্লোর অফিস স্পেস হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। একই ভবনে আবাসিক ও বানিজ্যিক ব্যবহারে আবাসিকের বাসিন্দারা সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভবন নির্মাণ কাজ শেষ হলেও রাজউক কর্তৃক অকুপেন্সি সার্টিফিকেট না নিয়েই বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে বাড়িটি।
এই এলাকায় দায়িত্বরত রাজউকের ইমারত পরিদর্শকের সাথে কথা বলে জানা যায় রাজউক ইতিমধ্যে নকশা ও অকুপেন্সি সনদ চেয়ে নোটিশ জারি করেছে।
নন্দন কানন হাউজিং এর প্রতিনিধির সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা ভবন বানিজ্যিক ব্যবহার করার জন্য রাজউকে আবেদন করেছেন। তবে তাদের এই দাবির সমর্থনে কোন নথি মেলে নি রাজউকে। ভবন নির্মাণের পর নকশা সংশোধনের পূর্বে বাড়িটি বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের আইনগত সুযোগ নেই,বলছেন সংশ্লিষ্টরা।