Site icon দৈনিক এই বাংলা

নাটোরে কারাগারে অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিএনপি নেতার মৃত্যু

আল আমিন,নাটোর প্রতিনিধি:-

নাটোর কারাগারে অসুস্থ হওয়ার ৯ দিন পর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এ কে আজাদ সোহেল নামে বিএনপির এক নেতার মৃত্যু হয়েছে।

আজ দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নাটোর জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মো. শহিদুল ইসলাম বাচ্চু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ কে আজাদ সোহেল নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার হাতিয়ন্দহ ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ইউনিয়নের যুবদলের সাবেক সভাপতি ছিলেন।

বিএনপির নেতারা জানান, গত ১৮ নভেম্বর বিএনপির নেতা এ কে আজাদ সোহেল কে ডিবি পুলিশ আটক করে কারাগারে পাঠায়। এরপর ৩০ নভেম্বর এ কে আজাদ সোহেলকে জামিন দেয় আদালত। পরে তাকে কারাগার থেকে নিতে গেলে আজাদ অসুস্থ থাকায় তাকে চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হয়েছে বলে কারা কর্তৃপক্ষ জানায়।

পরে পরিবারের সদস্যরা অসুস্থের খবর জানতে পেরে আজাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। দীর্ঘ ৯ দিন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়।

জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মো. শহিদুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, বর্তমান সরকার মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিনা অপরাধে গ্রেফতার করছে। জেলে পাঠিয়ে তাদের ওপর অমানুষিক জুলুম-নির্যাতন চালাচ্ছে। এমন নির্যাতনের শিকার হয়ে আমাদের সিংড়ার এক নেতা স্ট্রোক করে। পরে রাজশাহীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। তার মৃত্যুতে জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে তার পরিবারের প্রতি শোক প্রকাশ করছি।

নাটোর জেলা কারাগারের জেলার মো. মোশফিকুর রহমান বলেন, গত মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) এ কে আজাদ সোহেলকে নাশকতার মামলায় জেলহাজতে নিয়ে আসা হয়। পরে বুধবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় হঠ্যৎ তিনি অসুস্থ হলে কারা কর্তৃপক্ষ তাকে নাটোর সদর আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। পরে আইন অনুয়ায়ী আমরা রাজশাহী কারা কর্তৃপক্ষের কাছে তাকে হস্তান্তর করি। এবং গত বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) আদালত আজাদকে জামিন দেন। গত শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) কারা কর্তৃপক্ষ আজাদকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন। আজ চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে বিষয়টি শুনেছি।

এইবাংলা /নাদিরা শিমু/Ns

Exit mobile version