Site icon দৈনিক এই বাংলা

এমপি মোস্তাফিজ ইস্যু, ‘তিলকে তাল’

তানভীর আহমেদ :::

মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়েছেন চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত  প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী – এমন খবর দেশের সব কটি গণমাধ্যমে প্রচারিত হলেও অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে ভিন্ন তথ্য। একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সাংবাদিকের সাথে বাক-বিতণ্ডার জেরে সংসদ সদস্য মুস্তাফিজুর রহমানের গাড়ি আটকে লাথি মারার ভিডিও চিত্র ফাঁস হয়েছে। 

দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে দ্বাদশ  মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ের সামনে এমপি মোস্তাফিজ  ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের চট্টগ্রাম ব্যুরোর স্টাফ রিপোর্টার মো. রাকিব উদ্দিনকে চড় মারেন এবং অকথ্য ভাষায় গালাগাল দেবার তথ্য পরিবেশন করা হলেও,  অনুসন্ধানে জানা যায় সংসদ সদস্যের চড় কিংবা কিল- ঘুসি দেবার মতো কোন ঘটনাই ঘটেনি। তবে বক্তব্য না দিয়ে সংসদ সদস্য ও তার অনুসারীরা সিঁড়ি দিয়ে নেমে যাওয়ার চেস্টা করেন। এসময় সাংসদ মোস্তাফিজের সাথে থাকা লোকজন ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন  গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে। 

সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমানের হামলার প্রতিবাদ করায় চ্যানেল আইয়ের বিভাগীয়প্রধান চৌধুরী ফরিদসহ একাধিক সাংবাদিককে তিনি ধাক্কা দেন, এমন তথ্যের ও সত্যতা মিলে নি জেলা প্রশাসনের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে। ভিডিও চিত্র অনুযায়ী যখন তাকে বক্তব্য নেবার জন্য থামানো হয় তখন পেছনে অবস্থান করছিলেন সাংবাদিক ফরিদ। 

 হট্টগোলে সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে থাকা লোকজন একটি বেসরকারি  টিভির ক্যামেরা থেকে  মাইক্রোফোনের ক্যাবেল খুলে ফেলেন। তার লোকজন অন্য একটি  বেসরকারি টেলিভিশনের বুম কেড়ে নেন।  কিন্তু  ট্রাইপডসহ সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ব্যবহৃত  সরঞ্জাম ভাঙচুর করার কোন সত্যতা মেলেনি ভিডিও ফুটেজে। 

হাতে আসা ভিডিও চিত্র অনুসারে চ্যানেল আইয়ের ব্যুরো প্রধান চৌধুরী ফরিদকে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় গালাগাল করতে দেখা যায়। সাংসদ মোস্তাফিজকে  ‘চোর ‘ও  ‘ বিকাশ এমপি’ বলে সম্মোধন করতে শোনা যায় তাকে। ভিডিও ফুটেজে তাকে বিভিন্ন টেলিভিশনের গাড়ি থেকে ট্রাইপট, চশমা সংগ্রহ করে মাটিতে ফেলে ভিডিও ধারন করার নির্দেশনা দিতে দেখা যায় দু’জন সাংবাদিককে। 

সাংবাদিককে মারধর করার খবর ছড়িয়ে পড়লে এই প্রতিবাদে কর্মরত সাংবাদিকরা তাৎক্ষণিকভাবে  চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এরপর জেলা প্রশাসকের কক্ষে গিয়ে সংসদ সদস্যের হাতে সাংবাদিক প্রহৃত হবার  প্রতিবাদ ও বিচার দাবি করেন। এক বিবৃতিতে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ঘটনার নিন্দা জানান। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে দেয়া যৌথ বিবৃতিতে এমপি মোস্তাফিজের মনোনয়ন বাতিলের দাবি করা হয়। 

 এ বিষয়ে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ দেওয়ার পর নির্বাচনী অভিযোগ অনুসন্ধান কমিটি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীকে শোকজ করলে  শুক্রবার বিকালে জবাব উপস্থাপন করেন সাংসদ মোস্তাফিজের প্রতিনিধি। 

মোস্তাফিজ চট্টগ্রাম-১৬ বাঁশখালী আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য। এর আগেও সিনিয়র সাংবাদিক  চৌধুরী ফরিদের সাথে মোস্তাফিজুরের অনুসারীদের বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে। তখন মুক্তিযোদ্ধাদের পেটানোসহ বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছিল মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে। সাংসদের অনুসারী অন্য এক মুক্তিযোদ্ধা চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে সেই ঘটনায়  আহত হন। 

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে  মনোনয়নপত্র জমা দিতে ১০/১৫ জন নেতাকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে রিটার্নিং অফিসার ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের কার্যালয়ের সামনে আসেন এমপি প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান। এদের মধ্যে  তার সঙ্গে পাঁচ নেতাকর্মী রিটার্নিং অফিসারের কক্ষে ঢুকেন। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ডুকার আগে সিঁড়ি অতিক্রম করার সময়  একদফা কটুক্তি করা হয় তাকে। 

সাংসদ মোস্তাফিজ ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ফখরুজ্জামান

মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে বেরিয়ে এলে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে কিনা- মোস্তাফিজের কাছে প্রশ্ন করেন ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক রাকিব উদ্দিন। প্রশ্ন শুনেই তিনি রেগে গিয়ে এমপি মোস্তাফিজ বক্তব্য দেবেন না বলে চলে যেতে উদ্যোত হন। বেসরকারি টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যানদের সাথে কথা বলে জানা যায় এসময় প্রশ্নকর্তাকে কিল-ঘুসি মারার কোন ঘটনাই ঘটেনি। সাথে থাকা লোকজন মোস্তাফিজুর রহমানকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিতে তৎপর হলে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। 

জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে উপরের তলায় কোন মনোনয়ন প্রত্যাশীকে প্রশ্ন করার জন্য থামানো হয় নি। গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে নিচ তলায় কথা বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী, শিক্ষা উপমন্ত্রীসহ   সব মনোনয়ন প্রত্যাশীকে। এমপি মোস্তাফিজকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে আটকানোর বিষয়টি পরিকল্পিত বলে বিশ্লেষণ ঘটনাস্থলে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের। 

নাম প্রকাশে অনিশ্চুক এক সংবাদকর্মী বলেন, হট্টগোলের এক পর্যায়ে এক সাংবাদিক  চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায়   ‘ ইতে কি কজ্জে’ বলে পেছন থেকে  তেড়ে আসেন। অন্য সাংবাদিকদের খবর দেন তিনি। সাংবাদিকদের তোপের  মুখে এমপি মোস্তাফিজ  দ্রুত গাড়িতে উঠে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে চাইলে চৌধুরী ফরিদের নেতৃত্বে  তার গাড়ি আটকে রাখেন বেশকিছু গণমাধ্যমকর্মী। এ সময় গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে এমপির রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কর্মীরাও ঢুকে পড়েন । সুত্রমতে, মোস্তাফিজুর রহমান আদালত চত্বর ত্যাগ করার পর স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজনের হাতেই হেনস্তার শিকার হয় গণমাধ্যমকর্মিরা। 

মারধরের শিকার সাংবাদিক রাকিব উদ্দিন  বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী ৫ জনের বেশি নেতাকর্মী নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সুযোগ নেই। মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ১৫-২০ জন নেতাকর্মী নিয়ে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ নিয়ে প্রশ্ন করায় আমার দিকে তেড়ে আসেন এবং কিল-ঘুসি মারেন। আমি আত্মরক্ষার্থে পেছনের দিকে সরে যাই। ‘

রাকিব আরও জানান, হামলায় আরটিভির ক্যামেরা পারসন মিঠুও আহত হন। মোস্তাফিজুর রহমান গাড়িতে করে চলে যাওয়ার সময় এ ব্যাপারে সাংবাদিকরা তার বক্তব্য জানতে চান। সেখানেও তার লোকজন সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। ‘

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ওই সাংবাদিককে চড় বা ঘুসি মারার মতো কোন ঘটনা চোখে পড়েনি। সরকারের দুটি গোয়েন্দা সংস্থার সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যানদের ধারণ করা ভিডিও চিত্র বিশ্লেষণ করে দেখা যায়,  গাড়ির সামনে থেকে সরাতে কয়েকজনকে ধাক্কা দিচ্ছেন এমপি মোস্তাফিজের সমর্থকরা। এ সময় সংসদ সদস্যের গাড়িতে লাথি মারার ঘটনা ঘটে। গাড়ির কাছাকাছি স্থানে অবস্থান করছিলেন চৌধুরী ফরিদ। সোলায়মান ( চ্যানেল আইয়ের ক্যামেরাপারসন) নামের ক্যামেরাম্যানকে গাড়ির সামনের বনেটে উঠে ভিডিও চিত্র ধারন করতেও দেখা যায়। কালো কোট পরিহিত একজনকে সংসদ সদস্যের গাড়ির গ্লাসে আঘাত করতে দেখা যায়। ওই ব্যক্তি গণমাধ্যমকর্মী নন বলে নিশ্চিত করেছেন উপস্থিত সংবাদকর্মীরা। 

এ বিষয়ে ঘটনার পর পরই রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের চট্টগ্রাম ব্যুরোপ্রধান অনুপম শীল। রিটার্নিং অফিসার অভিযোগটি চট্টগ্রাম-১৬ আসনের নির্বাচনী অভিযোগ অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আবু সালেম মো. নোমানের কাছে পাঠালে মোস্তাফিজুর রহমানকে শোকজ করা হয়। সংসদ সদস্যের গাড়ি আটকে বক্তব্য নেয়ার বিষয়টিকে বাড়াবাড়ি বলে মনে করছেন গণমাধ্যম বিশ্লেষকরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক, উপস্থাপক ড. রুবাইয়াত ফেরদৌস মনে করেন, গণমাধ্যমকর্মীর প্রশ্নের উত্তর দেয়া উচিত ছিলো সংসদ সদস্যের। তবে সংসদ কাউকে চড়, কিল-ঘুসি না দিলে রসকসযুক্ত করে প্রচার করা সংবাদে স্পষ্ট ফেব্রিক্যাশন। এখানে সংবাদকর্মীদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। সংবাদ তৈরিতে নির্ভুলতা , স্বাতন্ত্র্য বা স্বাধীনতা, নিরেপক্ষতা, মানবিকতা, দায়বদ্ধতা – এই পাঁচ নীতি মেনে সাংবাদিকতার রীতি বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। ‘

সংসদ সদস্যের গাড়ি আটকে রেখে বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা কতখানি সাংবাদিকতা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন , সংসদ সদস্য প্রশ্নের জবাব দেন নি, কিংবা তেড়ে গিয়েছেন এতটুকুতেই শেষ হওয়া উচিত ছিল। এরপরে লাথি দেয়া কিংবা গাড়ি আটকে রাখা সংবাদকর্মীদের কাজ হতে পারে না, ফৌজদারি অপরাধ । বক্তব্য দিতে বাধ্য করা তো সাংবাদিকতা নয়।  ‘

বানোয়াটকে কোন বিষয়কে সংবাদের  অনুষঙ্গ হিসেবে প্রচার  করা এবং সেই অসত্য বিষয়বস্তুর উপর নির্ভূলতার প্রলেপ দেয়াকে ফেব্রিকেশন হিসেবে সংজ্ঞায়িত করে থাকেন গণমাধ্যম আইন বিশেষজ্ঞরা। 

এদিকে, শুক্রবার  চট্টগ্রামের স্থানীয় দৈনিক আজাদীকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সংসদ সদস্য মুস্তাফিজুর রহমান গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ কটুক্তি করা হয়েছে, উত্তেজনা তৈরি করা হয়েছে । একজন সংসদ সদস্যের গাড়ি আটকে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখেন, স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে কিভাবে গাড়ি ঘিরে রাখা হয়েছে।  ‘

সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমানের দু:খ প্রকাশের পরদিন টিভি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে  মানববন্ধন করে তার মনোনয়ন বাতিলের দাবি জানান। সাংবাদিককে মারধরের ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অভিযোগ তুলেন সাংবাদিক নেতারা। ‘

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল গফুর মনে করেন, ‘ পুরো ঘটনাতে তিলকে তাল করা হয়েছে। একজন সংসদ সদস্য কোন সংবাদকর্মীকে  চড় দিয়েছেন কিংবা ঘুসি দিয়েছেন ; এমন অসত্য  খবর হয়তো ভাইরাল হবে। কিন্তু মিথ্যা চিরদিনই মিথ্যা। কারো এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা কিংবা  পরিকল্পিত সংবাদ তৈরি করা- সাংবাদিকতার নীতি বিরোধী। কনফ্লিট অব ইন্টানেস্ট প্রশাসনের খতিয়ে দেখা উচিত।   ‘

এদিকে, চট্টগ্রামের একটি আঞ্চলিক নিউজ পোর্টালে সাংসদ মোস্তাফিজ ওই সাংবাদিক নেতাকে জামাত শিবিরের প্রাক্তন বায়তুল মাল সম্পাদক হিসেবে আখ্যায়িত করেন। পরদিন চট্টগ্রামের সিনিয়র  সাংবাদিক চোধুরী ফরিদ এমপি মোস্তাফিজের এমন বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে বলেন ‘ আমি বায়তুল মাল ছিলাম না ‘। 

মানববন্ধনে ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে সাংবাদিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে মোস্তাফিজুর রহমানের মনোনয়ন বাতিলের দাবি করেন সাংবাদিক নেতারা।

নানা সমালোচনা থাকলেও চট্টগ্রামের বাঁশখালী আসনে এবারও আওয়ামী লীগের  মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য মুস্তাফিজুর রহমান। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার অর্থ সম্পাদক ও দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকার সম্পাদক  মুজিবুর রহমান সিআইপি, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল্লাহ কবির লিটন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে  রয়েছেন নির্বাচনের মাঠে। মনোনয়নের খেলায় কোন পক্ষকে সুবিধা দিতে সাবোটাইস করে অতিরঞ্জিত খবর পরিবেশন করা হয়েছে এমন মন্তব্য বিশ্লেষকদের। গণমাধ্যম কর্মীদের ব্যবহার করে পুরো ঘটনাকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের এজেন্ডা হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। 

 

Exit mobile version