Site icon দৈনিক এই বাংলা

গৃহিণী স্ত্রীর মৎস চাষ দেখাশোনা করেন চসিকের কাউন্সিলর

নিয়াজ তুহিন, চট্টগ্রাম 

অবৈধ উপায়ে বিপুল অর্থ সম্পদ উপার্জন করার পর নিজের গৃহিণী স্ত্রীকে  দেখিয়েছেন মৎস ব্যবসায়ী হিসেবে । শুধু তাই নয় উপার্জিত সম্পদ গোপন করতে বলা হয়েছে স্বামী কাউন্সিলর স্ত্রীর ব্যবসা ও মৎস্য চাষ দেখাশোনা করেন।তবে দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধানে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর সলিমুল্লাহ বাথর  এসব জারি ঝুড়ি ফাঁস হয়েছে।

৯৪ লাখ ৩৮ হাজার টাকার জ্ঞাতআয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক)  কাউন্সিলর সলিম উল্লাহ প্রকাশ বাচ্চুও তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (২২ অক্টোবর) দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চট্টগ্রাম জেলা সমন্বিত-১ কার্যালয়ে মামলাটি করেন উপসহকারী পরিচালক সবুজ হোসেন।

আসামিরা হলেন- চসিকের ২২ নম্বর এনায়েত বাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সলিম উল্লাহ প্রকাশ বাচ্চু ও তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা।

মামলার বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন দুদক সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১ এর ইনচার্জ ও উপ-পরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত।

তিনি বলেন, অবৈধভাবে অর্জিত বিপুল পরিমাণ অর্থ ভোগদখল করার প্রমাণ পাওয়ায় সলিম উল্লাহ প্রকাশ বাচ্চু ও তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকার বিরুদ্ধে দুদক মামলা দায়ের করে। এখন দুদক মামলাটি অধিকতর তদন্ত করবে এবং তদন্তকালে মামলায় অন্য কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মামলার বিবরণীতে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ দুর্নীতি দমন কমিশনে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন কাউন্সিলরের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা। সেখানে তিনি বলেন, স্বামী তার ব্যবসা ও মৎস্য চাষ দেখাশোনা করেন।

কিন্তু দুদক সম্পদ বিবরণী যাচাই বাছাইকালে ৯৪ লাখ ৩৮ হাজার ৭৪৫ টাকার অবৈধ সম্পদের খোঁজ পায়। আয়েশা সিদ্দিকার সব ব্যবসা তার স্বামী দেখাশোনা করায় স্বামীর সহযোগিতায় অবৈধ সম্পদের মালিক হন। সলিম উল্লাহ অসাধু উপায়ে অর্জিত অর্থ বৈধ করার অপচেষ্টায় প্রাথমিকভাবে আয়কর নথিতে এবং পরবর্তীতে দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে অর্জিত সম্পদের উৎস ব্যবসা উল্লেখ করেন। যা ভিত্তিহীন। মৎস্য চাষের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।

 

Exit mobile version