আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) ৩৬ দফা প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
দৈনিক এই বাংলার সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রস্তাবগুলো উপস্থাপন করেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।
তিনি বলেন, “আমরা আশা করছি, আগামী জাতীয় নির্বাচন একটি উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ে যেসব শঙ্কা রয়েছে, তা দূর হবে। আমরা কমিশনকে সতর্ক করেছি যাতে বিতর্কিত ব্যক্তিরা নির্বাচনে কোনোভাবেই প্রভাব ফেলতে না পারেন।”
ড. মঈন খানের নেতৃত্বে বিএনপির তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল প্রায় দেড় ঘণ্টা সিইসির সঙ্গে বৈঠক করেন। প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন ইসমাইল জবিউল্লাহ ও সাবেক ইসি সচিব ড. মোহাম্মদ জাকারিয়া।
বিএনপির প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে:
- নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষ ভূমিকা নিশ্চিত করা
- মাঠ প্রশাসন পুনর্গঠন
- বিতর্কিত কর্মকর্তাদের নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি
- সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ নির্বাচন কমিশনের হাতে দেওয়া
- ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন
- মিথ্যা মামলার প্রত্যাহার
- অবৈধ অস্ত্র ও কালো টাকার প্রবাহ বন্ধ
- প্রবাসীদের স্বচ্ছ পোস্টাল ব্যালট ভোটের সুযোগ নিশ্চিত করা
বিএনপির দাবি, এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করলে আসন্ন নির্বাচন হবে অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক।
তবে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. মঈন খান দাবি করেন, তারা কোনো লিখিত প্রস্তাব দেননি। যদিও তার হাতে ‘সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে করণীয় প্রস্তাবসমূহ’ শীর্ষক একটি দলিল দেখা গেছে।
এই বাংলা/এমএস
টপিক
