Site icon দৈনিক এই বাংলা

এবার জলাবদ্ধতা ইস্যুতে চসিক মেয়রকে একহাত নিলেন সিডিএ চেয়ারম্যান

তানভীর আহমেদ :::

জলাবদ্ধতা ইস্যুতে চট্টগ্রাম  উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ  এবার এক হাত নিলেন চট্টগ্রামের মেয়র রেজাউল করিমকে। চসিক মেয়র রেজাউল করিম চট্টগ্রামে  নজিরবিহীন জলাবদ্ধতা জন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে বক্তব্য দেবার পর সংবাদ সম্মেলন ডেকে ‘মেয়র রেজাউল করিম’কে দায়ী করেছেন।

বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সিডিএ প্রেস কনফারেন্স সিডিএ’র চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ বলেন,  গত ৩০ বছর এই পরিমান বৃষ্টি হয়নি চট্টগ্রামে।  সমগ্র চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য নেয়া প্রকল্পের  ৭০ ভাগ কাজ সম্পন্ন করেছে  সিডিএ। অথচ অতিবৃষ্টির কারণে সৃস্ট জলাবদ্ধতার জন্য সিডিএ’কে ঢালাওভাবে দোষারোপ করা হচ্ছে। আমরা কোন সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের বিপক্ষে নই। ‘

আজাদী পত্রিকার রেফারেন্স টেনে সিডিএ চেয়ারম্যান বলেন, ” খাল পরিস্কার আছে, তবুও পানি, মেয়র রেজাউল সাহেব তথ্য উপাত্ত ছাড়া কিভাবে বললেন খাল থেকে ২০ কোটি সিএফটি মাটি  উত্তোলন  করতে হবে। সুইচ গেইট লাগানোর কারণে চাকতাই খাতুন গঞ্জে এবার পানি উঠেনি।  যারা অযৌক্তিক সমালোচনা করছেন তারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে অপমান করছেন। ‘

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ অভিযোগ করে বলেন,  সিডিএ এবং আর্মির মধ্যে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে চুক্তি হয়েছে। নগরে খাল আছে ৫৭ টি, এরমধ্যে ৩৬ টি খালের  কাজ চালু রয়েছে। সিডিএ’ র সদস্য থাকাকালীন আমি কদমতলী ফালাইওভারের বিরোধিতা করেছিলাম।  বাস্তবতা হচ্ছে ভূমি  অধিগ্রহণ ব্যতীত খালখনন সম্পন্ন করতে দেরি হচ্ছে। সাথে আছে আইনী জটিলতা।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন প্রকল্প পরিচালক   লে: কর্নেল শাহ আলী (৩৪ কনস্ট্রাকশন)।

তিনি বলেন,  বৃষ্টি থামার ১- ২ ঘন্টার মধ্যে পানি নেমে যাচ্ছে। আগের মতো দীর্ঘ সময় পানি জমে থাকছে না।
৩৬ টি খালের মধ্যে ১৬ টি খালের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে  পাহাড় কাটা বন্ধ করতে হবে। একইসাথে  অবশ্যই খালে ময়লা ফেলা বন্ধ করতে হবে।  আমাদের প্রকল্পের অন্যতম কাজ হচ্ছে খাল সম্প্রসারণ করা। খাল থেকে উত্তোলন করা  মাটি আরেফিন নগর, রাজাখালী ও অনন্য আবাসিকের খালি এবং নীচু জায়গায় ফেলা হচ্ছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে লে. কর্ণেল  শাহ আলী বলেন,’ ইতিমধ্যে নগরে ১১৮ কি:মি: রিটার্নিং ওয়ালের কাজ সম্পন্ন করেছি। মোট প্রাক্কলিত  ব্যয় ধরা হয়েছে ৫,৬১,৬৪৯.৯০ টাকা। এরমধ্যে আমরা পেয়েছি ৩,৫৯৮ কোটি টাকা।এছাড়া প্রতিটি খালের পাশে ভূমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন রয়েছে । ভূমি অধিগ্রহণে বিলম্বের জন্য  অনেক জায়গায় কাজ করা যাচ্ছে না। ‘

Exit mobile version