আজগর আলী সেলিম, চন্দনাইশ উপজেলা প্রতিনিধি:::
গত ৪ দিনের টানা বর্ষন, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দুটি পৌরসভার ৭ টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। অতিবৃষ্টিতে রোপা আউশ ধানের বীজতলা পানিতে তলিয়ে গিয়ে নষ্ট হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় সহ ,শঙ্খ নদীর চরে আবাদকৃত নানা সবজি খেত পাহাড়ি অঞ্চলের উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ডুবে গেছে। সবজি খেতের ক্ষতিসাধন হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে অনেক মৎস্য খামার ও পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।
চন্দনাইশ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে উপজেলা ভূমি কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা জিমরান মোহাম্মদ সায়েক উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা চেয়ারম্যান ও মেয়রদের দিকনির্দেশনা দিয়ে দুর্যোগ পূর্ণ এলাকার স্কুল, কলেজ, ও সাইক্লোন শেল্টার সেন্টারগুলো প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে । দুর্গত এলাকার জন্য শুকনো খাবার মজুদ রাখা হয়েছে।
এদিকে, শঙ্খ নদীর দু’পাশে সাতকানিয়া ও চন্দনাইশ উপজেলার শঙ্খ তীরবর্তী মানুষ রা চরম আতংকের মধ্যে দিনাতিপাত করছে। অতিবর্ষণের কারণে ঘর থেকে বের হতে না পারায় দিনমজুর, খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ পৌঁছেছে চরমে। বর্ষন অব্যাহত থাকলে যে কোন সময় নদীর শঙ্খ পানি বিপদ সীমা অতিক্রম করে দু’পাড়ে তলিয়ে যেতে পারে।
এদিকে দোহাজারীতে রেলওয়ে স্টেশন সম্প্রসারণ সড়ক,রেল লাইনের কাজের জন্য উঁচু রাস্তা নির্মাণ পানি নিস্কাশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় অনেক এলাকায় পানি চলাচলের বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে ঐসব এলাকায় মানুষের দুর্ভোগ চরমে।
বর্ষণ অব্যাহত থাকার কারণে চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের চন্দনাইশ উপজেলার পাঠনী ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় রাস্তার দুই দিকে পানি ছুঁই ছুঁই করছে,যে কোন সময় পানিতে তলিয়ে গিয়ে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
এইবাংলা/নাদিরা শিমু/NS