জকিগঞ্জ প্রতিনিধি :::
২০২২ সনের ৫ জানুয়ারী জকিগঞ্জের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দুই জন রিটানিং কর্মকর্তা সীল মারা ব্যালট পেপার, নগদ টাকা, ফেনসিডিল বোলতসহ গ্রেফতার হওয়া মামলায় এসময় থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা রেকর্ড করে। জকিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালত থেকে গত ৫ জুলাই খালাস পেলেও রবিবার ৬ আগস্ট সিলেট জেলা দায়রা জজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল দায়ের করেছেন। ফৌজদারী আপিল নং ৩৫১/২০২৩ ইং।
এ মামলায় সিজারলিস্টে তখনকার সিলেটের জেলা প্রশাসক এম. কাজী এমদাদুল ইসলাম, সিলেটের পুলিশ সুপার মোঃ ফরিদ উদ্দিন আহমদ, সিলেটের সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শুকুর মাহমুদ মিয়ার উপস্থিতিতে সরকারি গাড়ী তল্লাশী করে নির্বাচনী প্রতিকে সীল দেয়া ৪শত ব্যালট পেপার, সীল ছাড়া ৪শত ব্যালট পেপার, মুড়ি বই ৪টি, ইউপি সদস্য নির্বাচনের ব্যালট সীল দেয়া ও সীল ছাড়া ৪শত ও মুড়ি বাই ৪টি, সংরক্ষিত সদস্য নির্বাচন ব্যালট সীল দেয়া ও সীল ছাড়া মোট ৪শত ও মুড়ি বই ৪টি, ব্যালেট বাস্কের লক ৮টি, মোবাইল ফোন ৪টি, নগদ ১,২১,৫০০/= টাকা ও ১টি ফেনসিডিল বোতল ইত্যাদি তাদের দখল হতে উদ্ধার করে রিটানিং কর্মকর্তা হিসাবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাদমান সাকিব ও কৃষি কর্মকর্তা আরিফুর রহমানকে আটক করে পুলিশ। নির্বাচন কমিশন দু’জনকে সাময়িকভাবে চাকরীচ্যুত করে।
রাষ্ট্রপক্ষের পিপি এড. নিজাম উদ্দিন বলেন, সরকারের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটসহ সিলেটের পুলিশ সুপার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে সিজার লিস্টে স্বাক্ষর এবং পুলিশ সুপারের আদালতে স্বাক্ষী দেয়ার পরও দেশের বহুল আলোচিত এ মামলাটিতে আসামীরা খালাস পাওয়ার বিষয়টি অস্বাভাবিক মনে হয়ে তাই রাষ্ট্রপক্ষ আপিল দায়ের করেছে।
এইবাংলা/প্রিন্স আচার্য্য/সিপি