নিজস্ব প্রতিবেদক :::
পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে যদি আমরা নজর দিতে পারি তাহলে দেশের অনেক উপকার হবে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি চুক্তি করেন। আজকে অনেক বছর পার হয়ে গেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে অনেক সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের ইকোনমিতে অবদান রাখার। সেখানে বিভিন্ন পর্যটন এলাকা রয়েছে যেখানে প্রচুর মানুষ যায় এবং প্রকৃতি উপভোগ করে। সুতরাং আমি বলতে চাই যে অশান্তি সৃষ্টি এমন কাজে সময় নষ্ট না করে পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে যদি আমরা নজর দিতে পারি তাহলে দেশের অনেক উপকার হবে।
বুধবার (৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় বিজিএমইএর মাহবুব আলী মিলনায়তনে চট্টগ্রাম সেন্টার ফর রিজিওনাল স্টাডিজ, বাংলাদেশ (সিসিআরএসবিডি) উদ্বোধন এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে চলমান সংকটের গতি, প্রকৃতি ও উত্তরণের উপায় শীর্ষক আঞ্চলিক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এসব কথা বলেন।
ডায়ানামিকস অব অনগোয়িং ক্রাইসিস ইন চট্টগ্রাম হিল ট্রাক্টস অ্যান্ড ওয়েস ফরওয়ার্ড শীর্ষক এ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সিসিআরএসবিডি সভাপতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর আনোয়ারুল আজিম আরিফ।
সিসিআরএসবিডির নির্বাহী পরিচালক চবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মাহফুজ পারভেজের সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চবির আইন বিভাগের ডিন ড. আবদুল্লাহ ফারুক।
প্যানেল আলোচক ছিলেন বেগম রোকেয়া পদকপ্রাপ্ত শোভারানী ত্রিপুরা, চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী, খাগড়াছড়ি মং সার্কেলের চিফের পরিবারের সদস্য রাজকুমার টুইন ইনপ্রু মারমা, এফবিসিসিআইর পরিচালক ডা. মুনাল মাহবুব, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব) মো. এমদাদুল ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীসহ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ভূমি মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বন্দর নগরী। অর্থনৈতিকভাবে আমরা বাকি নগর থেকে অনেক এগিয়ে। এ শহরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন থেকে শুরু করে বর্তমান সরকার আরো অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছে। যা অনেক দাবি জানানোর পরেও যেটা বিএনপি সরকার কোনদিন করেনি। প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়িত্ব নিজ হাতে নিয়েছিলেন এবং তার প্রমাণ স্বরূপ আজকের এ চট্টগ্রাম আপনাদের সামনে দাড়িয়ে । সামনে আরো যতদিন যাবে আমরা আরো অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাব এ আশা রাখি।
তিনি চট্টগ্রামের তরুণ প্রজন্মকে উদ্দেশ্য করে বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নে আপনাদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সময় নষ্ট নাকরে দেশের উন্নয়নে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে উদাত্ত আহŸান জানান। বিভিন্ন উন্নত বিশ্বের প্রতি তাকালে দেখবেন তারাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে কিন্তু তা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সারাদিন নয়। আজকে অনেক ধরনের সুযোগ রয়েছে জীবনকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যেমন স্টার্টাপ প্রোগ্রাম, ফ্রিল্যান্সিং, অনেক ইন্ডাস্ট্রিও রয়েছে। এসব জায়গায় নিজেদের চিন্তা ভাবনা গুলোকে কাজে লাগিয়ে কিভাবে জীবনকে সুন্দর করে তৈরি করা যায় সে চেষ্টা করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে উন্নয়নের জোয়ারে ভাসিয়ে দিয়েছেন। তিনি দেশ এবং দেশের জনগণের কথা চিন্তা করেন। দ্রব্যমূল্যর উর্ধ¦গতি নিয়ে তিনি যথেষ্ট সচেতন। সাধারণ মানুষের যাতে কষ্ট না হয় সেজন্য তিনি বিভিন্ন দিক অবলম্বন করে বাজার দ্রব্য স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা করছেন। আজকে সারা বিশ্বে যুদ্ধজনিত অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে সেজন্য আমাদের জনজীবনে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিজনিত কিছুটা অস্থিরতা বিরাজ করছে। তবে সেটা সাময়িক। তাই আমি বিএনপিকে বলব দেশে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবেন না। দেশের যথেষ্ট উন্নয়ন হয়েছে এবং দেশের মানুষ অনেক শান্তিতে আছে।
এইবাংলা/প্রিন্স আচার্য্য/সিপি