Site icon দৈনিক এই বাংলা

চট্টগ্রামে বৃক্ষ মেলার উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিবেদক :::

ঢাকায় জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলার উদ্বোধনের পর দেশব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে চট্টগ্রামে বৃক্ষমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার  (৩১জুলাই) সকালে চট্টগ্রামের রেলওয়ে শীরিষ তলায় বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার  ড:প্রকাশ কান্তি চৌধুরী।

‘গাছ লাগিয়ে যত্ন করি সুস্থ প্রজন্মের দেশ গড়ি’ প্রতিপাদ্যে চট্টগ্রামে বৃক্ষরোপন অভিযান ও বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক  বিপুল কৃষ্ণ দাস।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার  এম এ মাসুদ, বাংলাদেশ রেলওয়ে, চট্টগ্রামের মহাব্যবস্থাপক (পূর্ব)  মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ, বিপিএম (সেবা), বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফ্ফর আহাম্মদ।

বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন  বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।

এসময় প্রধান অতিথি চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙ্গালী বীর বাঙ্গালীর অহঙ্কার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি নারিকেলের চারা রোপণের মধ্যদিয়ে উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনীর শুভ সূচনা করেছিলেন। পরবর্তীতে বৃক্ষ সম্পদ বৃদ্ধির জন্য গণসচেতনতার লক্ষ্যে বন বিভাগের উদ্যোগে ১৯৯৪ সাল হতে দেশব্যাপী বৃক্ষমেলার প্রবর্তন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এক বছরে সামাজিক বনায়নের ২১ জন মহিলা ও ৫৪ জন পুরুষ উপকারভোগীকে প্রায় ১ কোটি টাকা লভ্যাংশের চেক বিতরণ করা হয়েছে। বৃক্ষ দেশের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায়ে দারিদ্র বিমোচনে বলিষ্ট ভূমিকা রাখছে। পরিবেশ উন্নয়নে বনায়নের ভূমিকা অনস্বীকার্য। জনবহুল বাংলাদেশের চাহিদার তুলনায় আমাদের বৃক্ষসম্পদ অপ্রতুল। এ পরিস্থিতিতে বৃক্ষ সম্পদ বাড়ানো সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। অথচ বাঁচার তাগিদে আমাদেরকে বৃক্ষরোপণ ও উহার সংরক্ষণ করে এ সম্পদ বাড়ানো প্রয়োজন । ‘

চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক  বিপুল কৃষ্ণ দাস বলেন, বন অধিদপ্তর শতাব্দীর ঐতিহ্য মন্ডিত একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। দেশের প্রাকৃতিক ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং ভূমি ভিত্তিক উৎপাদন ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা রক্ষায় বন অধিদপ্তর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে। তাই বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে বৃক্ষমেলার গুরুত্ব অপরিসীম। এ মেলা বিভিন্ন প্রজাতির চারার প্রদর্শনী, বেচা-কেনা ও প্রযুক্তি হস্তান্তরের একটি অন্যতম মাধ্যম।  জনসাধারণের মধ্যে গাছ পালার প্রয়োজনীয়তা, সংরক্ষণ ও এর সুষ্ঠু ব্যবহারের মাধ্যমে অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত উন্নয়ন সম্পর্কে গণসচেতনতা সৃষ্টির জন্য এই মেলার আয়োজন।

এবারের বৃক্ষ মেলায় সত্তর টি স্টল অংশগ্রহন করেছে। মেলায় স্টল নিয়ে অংশ নেয়া মধু গবেষক মইনুল আনোয়ার বলেন, শহর-বন্দর এমনকি প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও বিভিন্ন হাটবাজারে বিভিন্ন সামগ্রীর সাথে গাছের চারাও দেদারছে বিক্রি হতে দেখা যাচ্ছে। হাট বাজার হতে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর সাথে ২/১ টি চারা এখন একটি প্রয়োজনীয় বস্তুতে পরিণত হয়েছে। এ জন্য বন বিভাগ কর্তৃক বৃক্ষমেলার অবদান অনস্বীকার্য। চট্টগ্রামের সিআরবি, শিরীষতলায় এ মেলাও বনজসম্পদ সৃষ্টি ও রক্ষণাবেক্ষণে জনগনের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগাবে বলে আশা রাখি। ‘

আয়োজকরা জানান, জনগণ যাতে সহজ উপায়ে গাছের চারা সংগ্রহ করতে পারেন তার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম শহর ছাড়াও বিভিন্ন উপজেলায় বন বিভাগীয় নার্সারীতে সরকারি মূল্যে গাছের চারা প্রাপ্তির সুযোগ আছে।চট্টগ্রামে অংশীদারিত্ব বনায়নের প্রচলন শুরু হওয়ার পর থেকে বনজসম্পদ রক্ষায় জনগনের মধ্যে স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অংশীদারিত্ব বনায়নে সফলতা এক যুগান্তকারী রূপ লাভ করেছে। চট্টগ্রাম।

এইবাংলা /তুহিন

Exit mobile version