Site icon দৈনিক এই বাংলা

আজ চট্টগ্রামে বিভাগীয় শ্রমিক দলের মহাসমাবেশ, নজর থাকবে বিদেশীদেরও

::; তানভীর আহমেদ:::

শ্রমিক কর্মচারীদের ন্যায্য দাবী আদায়, দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতি গতিরোধ, দুর্নীতি বন্ধ এবং অবৈধ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের উদ্যোগে আজ দুপুর দুইটাই মেহনতী শ্রমিক- জনতার মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে ।

চট্টগ্রাম বিএনপি এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দল সূত্রে জানা গেছে, মেহনতী শ্রমিক-জনতার এই মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে বিএনপির দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনের সামনে নুর আহমদ সড়কে । উক্ত মহাসমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আল নোমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর । প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এছাড়াও বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল ও শ্রমিক দলের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখবেন ।
মহাসমাবেশ সফল করতে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলার নেতা -কর্মীরা এক সপ্তাহের ও বেশি সময় যাবৎ ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছেন সমগ্র চট্টগ্রাম জুড়ে। এই ব্যাপারে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডাক্তার শাহাদাত হোসেন বলেন ,
” এই অবৈধ এবং নির্লজ্জ সরকার কে যত দ্রুত বিদায় করা যায় ততই দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গলজনক। আমরা বাংলাদেশের জনগণকে সাথে নিয়েই নিয়ম তান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে খুব শীঘ্রই এ সরকারকে বিদায় করবো ” ।

বিএনপির কেন্দ্রীয় শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এম নাজিম উদ্দিন বলেন, ” মেহনতী শ্রমিক – জনতার মহা সমাবেশ চট্টগ্রামের রাজনৈতিক ইতিহাসে সর্ববৃহৎ সমাবেশ হবে । মহাসমাবেশ সফল করতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা প্রাণান্তকর পরিশ্রম করছেন। ”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আজকের চট্টগ্রামের মেহনতী শ্রমিক- জনতার মহাসমাবেশ ব্যাপক তাৎপর্য বহন করছে । ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিনিধি দল বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থান করছে এবং তারা গতকাল আওয়ামী লীগ-বিএনপি -জামায়েত ইসলাম ও এবি পার্টির সাথে পৃথক পৃথকভাবে বৈঠক করেছে। শুধু তাই নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি বৃন্দ, পশ্চিমা বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলো এবং দাতা গোষ্ঠীগুলোর নজর থাকবে এই মহাসমাবেশের উপর । আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে এই মহাসমাবেশ থেকে বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ জনগণের নিকট কি বার্তা প্রদান করবে সেটিরও তারা চুল -চেড়া বিশ্লেষণ করবেন বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি প্রণয়ন এবং এর প্রেক্ষিতে ভারত , চীন , ইরান ও রাশিয়ার বাংলাদেশের রাজনীতির প্রতি গভীর আগ্রহ সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

Exit mobile version