Site icon দৈনিক এই বাংলা

জনগণ কখনো অশুভ শক্তিকে গ্রহণ করবে না: নাছির

চট্টগ্রাম ব্যুরো :::

চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের পর ঐক্যবদ্ধভাবে ভোটে লড়ার ঘোষণা দিলেন নৌকার প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু এবং নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন।

মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন,আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নৌকার প্রতীক নিয়ে মাঠে নেমেছি। এই যাত্রায় নৌকাই অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ও সমৃদ্ধির প্রতীক।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে বাদ যোহর খতমে কোরআন, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, জঙ্গীশাহ মাজার জিয়ারত শেষে চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. মহিউদ্দিন বাচ্চুর নির্বাচনী প্রচারণা অনুষ্ঠানের সূচনা করেন আ জ ম নাসির উদ্দীন।

এসময় তিনি বলেন, আমাদের সাথে জনগণ আছে, এই জনগণ কখনো অশুভ শক্তিকে গ্রহণ করেনি। তারা শুভ যাত্রায় নৌকাকেই বরণ করেছে।
এই নৌকায় আমাদের সমস্ত সাফল্য ও অর্জনের বাহন।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, দলীয় প্রার্থীকে জেতাতে আমরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি। নির্বাচনি মাঠে কাজ করতে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভোটকেন্দ্রে সন্তোষজনক ভোটারের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে তারা কাজ করছেন। প্রচার-প্রচারণা যাতে বিঘ্নিত না হয়, সেজন্য নগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন এরই মধ্যে স্থগিত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর জুবিলী রোডে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে এই আসনের পাঁচ প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়।

চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান বলেন, “মোট ৫ জন প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে। এদের মধ্যে স্বতন্ত্র এক প্রার্থীর মনোনয়ন বাছাইয়ে বাতিল হয়েছিল। পরে তিনি আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।”

প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের মহিউদ্দিন বাচ্চু নৌকা, জাতীয় পার্টির মো. সামশুল আলম লাঙ্গল, তৃণমূল বিএনপির দীপক কুমার পালিত সোনালী আঁশ, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক জোটের রশিদ মিয়া ছড়ি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মনজুরুল ইসলাম ভুঁইয়া রকেট প্রতীক নিয়ে ভোটে লড়বেন।

প্রতীক বরাদ্দের পর দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বেরিয়ে আসেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু। এ সময় তার সাথে ছিলেন আ জ ম নাছির ‍উদ্দিন।

চট্টগ্রাম নগরের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে দুটি ধারা আছে। এরমধ্যে একটি পক্ষের নেতৃত্বে ছিলেন প্রয়াত নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। অন্য পক্ষটি আ জ ম নাছিরের অনুসারী। মহিউদ্দিনের মৃত্যুর পর তার অনুসারীরা আছেন তার বড় ছেলে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের সাথে।

দুইজন প্রার্থী অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু নিয়মিত আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর থেকে প্রতিদিনই বিভিন্ন সভা আহবান করে ভোট প্রার্থনা করছেন। এমনকি প্রচারণা শুরুর আগেই নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন করেছেন।

এরআগে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী-চান্দগাঁও আসনের উপনির্বাচনে শহরে ভোটার উপস্থিতির হার ছিল মাত্র ৭ শতাংশ! লাখ লাখ টাকা খরচ করেও ভোটারদের কেন্দ্রমুখী করা যায়নি। অভিযোগ-টাকা নিয়েও নেতাকর্মীরা ভোটারদের কেন্দ্রে আনতে কাজ করেননি। চট্টগ্রাম-১০ আসনেও একই পরিস্থিতি হবে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া ছয়জন মনোনয়নপত্র জমা দিলেও কেবল আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী মাঠে আছেন। প্রচার-প্রচারণায় অন্যদের দেখা যাচ্ছে না।

এইবাংলা / নাদিরা শিমু

Exit mobile version