Site icon দৈনিক এই বাংলা

চট্টগ্রামে পাহাড় থেকে ৩৫০ স্থাপনা উচ্ছেদ

নিজস্ব প্রতিবেদক ::::

চট্টগ্রামের আকবর শাহ থানাধীন বেলতলীঘোনা এলাকায় পাহাড় রক্ষায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন বিশেষ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে। রোববার (৯ জুলাই) দিনব্যাপী পরিচালিত এই অভিযানে পাহাড় কেটে নির্মাণ করা অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ ৩৫০ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে উদ্ধার হয়েছে ২ দশমিক ৮৮ একর সরকারি খাস জমি। অভিযান চলাকালে পাহাড় কাটার ১৫টি হটস্পট চিহ্নিত করে পাহাড় কর্তনকারী ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিট্রেট ও এনডিসি তৌহিদুল ইসলাম জানান, আজ সকাল ১০টা থেকে নগরীর আকবর শাহ থানাধীন ফয়েজ লেক সংলগ্ন বেলতলীঘোনা এলাকার পাহাড় কেটে নির্মিত স্থাপনা ও ঘর উচ্ছেদ করতে জেলা প্রশাসনের চারজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে অভিযান শুরু হয়। বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিশেষ অভিযানে উচ্ছেদ করা হয় কাঁচা পাকা ৩৫০টি স্থাপনা।

তিনি আরও জানান, চট্টগ্রাম জেলার পাহাড়সমূহ রক্ষার্থে হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) কর্তৃক সুপ্রিম কোর্টে দায়েরকৃত রিট পিটিশন নম্বর-৯১১৪/২০২২ এবং আপিল বিভাগের সিভিল পিটিশন ফর লিভ টু আপিল নম্বর-২৪৯২/২০২২ এর রায় বাস্তবায়নে এবং পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির ২৬তম সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের নির্দেশক্রমে পাহাড় ও প্রকৃতি রক্ষায় বিশেষ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

রোববারের অভিযানে নেতৃত্ব দেন- সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাট্টলী সার্কেল মো. উমর ফারুক, সহকারী কমিশনার (ভূমি) চান্দগাঁও সার্কেল মো. মাসুদ রানা এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) বাকলিয়া সার্কেল জামিউল হিকমাহ। উচ্ছেদ অভিযানে সিএমপি’র ৮০ জন ফোর্স, আকবর শাহ থানার ওসি ওয়ালি উদ্দিন, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ হাসান. র‍্যাব-৭ এর দুটি টিম, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের টিম, মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, পিডিবির টিম, কর্ণফুলী গ্যাস প্রতিনিধি, ওয়াসা প্রতিনিধি এবং ৪০ জন আনসার সদস্য অংশ নেন।

অভিযানে পাহাড়তলী মৌজার ফয়েজ লেক এলাকা এবং উত্তর পাহাড়তলী এলাকার বেলতলীঘোনা এলাকায় মোট ১৫টির মতো পাহাড় কাটার হটস্পট চিহ্নিত করেছে জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটরা। এসব হটস্পটে পাহাড় কেটে যেসব ব্যক্তি জমির শ্রেণি পরিবর্তন করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আকবর শাহ থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করতে পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, উদ্ধারকৃত পাহাড়ি এলাকার সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে আনসার মোতায়েন করা হয়েছে। পাহাড় রক্ষায় চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড় বেষ্টিত এলাকা আকবর শাহ, খুলশী, সীতাকুণ্ড, বায়েজিদ থানাসহ অন্যান্য সব পাহাড়ি এলাকার অবৈধ স্থাপনা অপসারণ ও উচ্ছেদ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

Exit mobile version