Site icon দৈনিক এই বাংলা

চট্টগ্রামে ঈদের নামাজে ‘শান্তি ও সম্প্রীতি’ কামনা

তানভীর আহমেদ, চট্টগ্রাম 

চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঈদের জামাতে অংশ নিয়ে দেশের শান্তি সম্প্রীতির জন্য দোয়া করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। বৃহস্পতিবার সকাল সাতটায় জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে  ঈদের নামাজ শেষে মোনাজাতে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও দেশের মানুষের সুস্থতা কামনায় দোয়া করেন মসজিদের খতিব সৈয়দ আবু তালেব মোহাম্মদ আলাউদ্দীন আল কাদেরী।

চট্টগ্রামের জমিয়তুল ফালাহ ময়দানে  ঈদ জামাতে  মেয়র, সাবেক মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দীন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সিটি কর্পোরেশন সাবেক মেয়র  মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী , বিএনপি নেতা মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, নগর জাতীয় পার্টির সভাপতি  সোলায়মান আলম শেঠসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেন।

এই মসজিদে দ্বিতীয়  ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল আটটায় ।  চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে সকাল সাড়ে ৭টায় নগরীর আটটি মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এগুলো হলো লালদীঘি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন শাহী জামে মসজিদ, হযরত শেখ ফরিদ (রঃ) চশমা ঈদগাহ মসজিদ, সুগন্ধা আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, চকবাজার সিটি করপোরেশন জামে মসজিদ, জহুর হকার্স মার্কেট জামে মসজিদ, দক্ষিণ খুলশী (ভিআইপি) আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, আরেফীন নগর কেন্দ্রীয় কবরস্থান জামে মসজিদ, সাগরিকা গরুবাজার জামে মসজিদ এবং মা আয়েশা সিদ্দিকী চসিক জামে মসজিদ (সাগরিকা জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়াম সংলগ্ন)।

এছাড়া  জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় সকাল ৮টায় এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়াম মাঠে ঈদ জামাত হয়। সেখানে ইমামতি করেন বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদ্রাসার সাবেক প্রিন্সিপাল ড. সাইয়েদ মুহাম্মদ আবু নোমান।

এছাড়া নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের মসজিদগুলোতে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরের তত্ত্বাবধানে একটি করে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। আবহাওয়ার কথা বিবেচনা করে মসজিদের ভেতরেই অনুষ্ঠিত হয়েছে অধিকাংশ ঈদের জামাত।

চট্টগ্রামের জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে নামাজ আদায় করে বিএনপি নেতা মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, “নির্বাচন নিয়ে আলোচনার জায়গা এটা না। নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হবে রাজনীতির মাঠে। মানুষের ঊর্ধ্বশ্বাস হয়ে গেছে, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, চারিদিকে বিশৃঙ্খলা, মানুষ দিশেহারা।তার মধ্যেও মানুষ ঈদ করছে। নির্বাচন নিয়ে মানুষ শঙ্কিত। কারণ আওয়ামী লীগের ভাষা যুদ্ধংদেহী। মেরে ফেলব, কেটে ফেলব, এটা করব, ওটা করব না…এরকম। এটা রাজনীতির ভাষা না। রাজনীতির ভাষায় তাদের ফিরে আসতে হবে। আমরা সেই রাজনীতিতে ফিরে গেছি।”

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় ঈদ জামাত কমিটির উদ্যোগে  মোট ১৬৫টি স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে । এসব ঈদের নামাজ শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। এছাড়া ঈদগাহের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ ও প্রশাসন।ঈদের নামাজ শেষে নগরীর সব এলাকায় পশু কোরবানি শুরু হয়।

কোরবানির জন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ৪১টি ওয়ার্ডের মোট ৩০৪টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। নাগরিকদের নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি করতে সিটি মেয়রের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হলেও প্রতি বছরের মত এবারও নগরীর পাড়া-মহল্লার সড়ক ও ভবনের নিচেই হয়েছে বেশিরভাগ কোরবানি।

এইবাংলা /তুহিন

Exit mobile version