::: নিজস্ব প্রতিবেদক :::
চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে ছুরিকাঘাত করে যুবক হত্যার মূল আসামী রাজীবকে তার তিন সহযোগীসহ গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম। একটি কারখানার পাশে রাস্তায় প্রস্রাব করতে বাধা দেওয়ায় দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটায় রোববার (২৮ মে) ভোর ৫টার দিকে।
পাহাড়তলী থানাধীন নতুনবাজার সড়কের গলির মুখে এই হত্যাকাণ্ডের পর হত্যাকারীরা গা ডাকা দেয়। তাদের গ্রেফতারে র্যাব তৎফর হলে র্যাবের জালে ধরা পড়ে তারা । নিহত আজাদ (৩০) নতুনবাজার এলাকার মো. লাডু ইব্রাহিমের ছেলে।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম মামলার পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরধারী এবং ছায়াতদন্ত অব্যাহত রাখে। নজরধারীর এক পর্যায়ে র্যাব-৭ চট্টগ্রাম গোপন সূত্রে জানতে পারে ,বর্ণিত মামলার অন্যতম প্রধান কয়েকজন আসামী রাঙ্গামাটি জেলার কোতয়ালী থানাধীন একটি আবাসিক হোটেলে অবস্থান করছে।
উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল রবিবার (২৯ মে) রাঙ্গামাটির আবাসিক হোটেলে অভিযান পরিচালনা করে আসামিদের গ্রেফতার করে।
র্যাব জানিয়েছে, ‘মামলা দায়েরের ১৫ ঘন্টার মধ্যে আসামী আবু তাহের রাজীব (২৩), পিতা-মোঃ আবুল হাসেম, থানা-হালিশহর, চট্টগ্রাম, দেলোয়ার হোসেন জয় (২৭), পিতা-মোঃ আনোয়ার হোসেন, সাং-সংসেরাবাদ, থানা-সদর, জেলা-লক্ষীপুর এবং মোঃ রায়হান সজীব (২২), পিতা- মোঃ ইব্রাহিম, সাং-এরশাদ চেয়ারম্যান বাড়ি, থানা-হালিশহর, চট্টগ্রামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ‘
নিহত আজাদের চাচাতো ভাই মো. ইমন বলেন, আজাদ একটি কারখানায় নৈশপ্রহরী হিসেবে চাকরি করতেন।দায়িত্ব পালন শেষে ভোরে বাসায় ফিরছিলেন। বাসার সামনেই ছিনতাইকারীরা ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।ঘটনা দেখে তার বোন চিৎকার করলে আমরা গিয়ে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। মৃত্যুর আগে রাজু ও ওসমান সহ আরও দুইজন তাকে ছুরিকাঘাত করে বলে জানিয়েছেন আজাদ।
পাহাড়তলী থানা পুলিশ জানিয়েছে, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পূর্বশত্রুতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সড়ক অবরোধ করেছিল। পরে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
নিহত আজাদের পরিবারের অভিযোগ, কাউন্সিলর আব্দুস সবুর লিটনের ছোট ভাই আব্দুল মান্নান খোকনের নেতৃত্বেই চাঁদাবাজি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধ করে বেড়ায় আবুল হাসনাত রাজু, ফয়সাল ও ওসমানরা। তারা দলবদ্ধভাবে বিভিন্ন দোকানে চাঁদাবাজি, ছিনতাই, জুয়া ও মাদকের কারবার করে আসছে দীর্ঘ দিন ধরে।
এদিকে, মৃত্যুর আগে স্বজনদের কাছে তার হত্যাকারীদের নাম বলে যায় আজাদ। নামগুলো হচ্ছ- আবুল হাসনাত রাজু প্রকাশ রাজু, ফয়সাল ও ওসমান। এদের সবাই কাউন্সিলর আব্দুস সবুর লিটনের ছোট ভাই আব্দুল মান্নান খোকনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।গ্রেপ্তার হওয়া তিনজনই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের রামপুরা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুর সবুর লিটনের অনুসারী বলে স্থানীয়রা নিশ্চিত করেছেন। কাউন্সিলর সবুরের ভাই খোকনের ছত্রছায়ায় এলাকায় চাঁদাবাজি করে আসছিলো চক্রটি।
এইবাংলা /তুহিন