নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে সারাদেশে সমাবেশ করেছে বিএনপি।নেতাকর্মীদের জমায়েতের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার ছিনিয়ে নিয়ে আওয়ামী লীগ দেশে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে। দ্রব্যমুল্যের লাগামহীন উর্ধগতির পরও সরকারের লোকজন লুটপাটে ব্যস্ত। জনগণের ভোটের অধিকার হরনকারীদের প্রতিহত করতে হবে।’
তিনি বলেন, গ্যাস, বিদ্যুৎ, চাল, ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চলমান যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) সারা দেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।’
নজরুল ইসলাম খান আরো বলেন, প্রতিদিন জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। সাধারণ মানুষ আর চলতে পারছে না। সরকার এক সপ্তাহের মধ্যে দুই বার জ্বালানির দাম বৃদ্ধি করেছে। তারা যদি জনগণের সমর্থনের প্রতি শ্রদ্ধা করত, তাহলে জিনিসপত্রের দাম এভাবে বাড়াত না। তারা জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসতে চায় না। তারা যদি চাইত, তাহলে জনগণের কল্যাণে কাজ করত।
দুপুর থেকে নেতাকর্মীদের খন্ড খন্ড মিছিল আর শ্লোগানে মুখর হয়ে উঠে চট্টগ্রামের কাজির দেউড়ী এলাকা। নগরীর নুর আহমদ সড়কে নাসিমন ভবনের সামনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সড়কে ভারি যান প্রাইম মোভারের ওপর বানানো অস্থায়ী মঞ্চে শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আড়াইটায় শুরু হয় এই মহা সমাবেশ। দলটির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানও যোগ দেন সমাবেশে৷
বিভাগীয় সমাবেশ ঘিরে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য সমাবেশস্থল ও আশপাশের এলাকায় সতর্ক অবস্থানে ছিলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সমাবেশ শেষ করেছে বিএনপি৷
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ফারুক, উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক গোলাম আকবর খন্দকার, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, জয়নাল আবেদিন ও এস এম ফজলুল হক, যুগ্ম মহাসচিব এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম।
এদিকে, এরআগে সকালে নগরের বহদ্দারহাট মোড়ে ছাত্র ও যুব স্কোয়ার্ডের উদ্যোগে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের নামে নৈরাজ্যের প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। এসময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আন্দোলনের নামে মানুষ হত্যা, অগ্নিসংযোগ, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করাই তাদের মূল উদ্দেশ্য। কোথাও বিএনপি-জামায়াত বিভাগীয় সমাবেশের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে সমুচিত জবাব দিতে আমরা প্রস্তুত। সুতরাং সাবধান হয়ে যান, চট্টগ্রামে শান্তি -শৃঙ্খলা বিনষ্ট করার চেষ্টা করবেন না।
বিএনপির সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, মৎস্যজীবী সম্পাদক লুৎফুর রহমান কাজল, উপজাতি সম্পাদক মা ম্যা চিং, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার, হারুনুর রশীদ ভিপি, সহ কর্মসংস্থান সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ ভূইয়া, সহ গ্রাম সরকার সম্পাদক বেলাল আহমদ, কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী, সহ সমাজ কল্যাণ সম্পাদক শাহাবুদ্দীন সাবু, নোয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বি এস সি, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ব্যারিষ্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, উদয় কুসুম বড়ুয়া, কাজী মুফিজুর রহমান, মশিউর রহমান বিপ্লব, সাচিং প্রু জেরী, ফেনী জেলা বিএনপি’র আহবায়ক শেখ ফরিদ বাহার, রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি দিপেন তালুকদার, নোয়াখালী জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এড. আব্দুর রহমান, উত্তর জেলা বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক এম এ হালিম, কক্সবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড, শামীম আরা স্বপ্না, ফেনী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল, বান্দরবন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রেজা, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এম এন আফসার, রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ মামুন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য এনামুল হক এনাম ।