চট্টগ্রাম প্রতিনিধি ::
চট্টগ্রামের চাঞ্চল্যকর মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় আসামি এহতেশামুল হক ভোলার জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। এছাড়া মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য ২০ ফেব্রুয়ারি সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে চাঞ্চল্যকর মামলাটি বিচারের জন্য তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার মহানগর দায়রা জজ বেগম জেবুন্নেছার আদালত এ আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আবদুর রশীদ। তিনি বলেন, মিতু হত্যা মামলা মহানগর দায়রা জজ আদালতে নথি উল্লিখিত হলে মামলাটি বিচারের জন্য তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলি করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী উচ্চ আদালত থেকে জামিনে থাকা আসামি এহতেশামুল হক ভোলা মঙ্গলবার মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালতে আগের শর্তে তার জামিন মঞ্জুর করেন। কারাগারে থাকা এই মামলার আরেক আসামি বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে হাজিরা পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
এই মামলায় পলাতক দুই আসামি হলেন- মো. কামরুল ইসলাম শিকদার প্রকাশ মুসা ও মো. খাইরুল ইসলাম প্রকাশ কালু।
এরআগে গত ১১ জানুয়ারি সকালে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবদুল হালিমের আদালত মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় বদলি আদেশ দিয়েছিলেন।
চাঞ্চল্যকর এ মামলায় ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সাতজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ১০ অক্টোবর আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।অভিযোগপত্রে প্রধান আসামি করা হয়েছে মিতুর স্বামী বাবুল আক্তারকে। অভিযোগপত্রে আরও যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন-মো. কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা, এহতেশামুল হক প্রকাশ হানিফুল হক প্রকাশ ভোলাইয়া, মো. মোতালেব মিয়া ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম কালু এবং শাহজাহান মিয়া। এতে মুসা ও কালুকে পলাতক হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। ওই সময় এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়।
পরে মামলাটিতে স্ত্রী হত্যাকাণ্ডে স্বামী বাবুল আক্তারেরই সম্পৃক্ততা পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ২০২১ সালের ১২ মে আগের মামলাটিতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়। একই দিন বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানায় দ্বিতীয় মামলাটি দায়ের করেন মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন। ওইদিনই মামলাটিতে বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করে পিবিআই। সেই থেকে কারাগারে রয়েছেন বাবুল।
এইবা/চ.প্র