::: বান্দরবান প্রতিনিধি :::
বান্দরবান রোয়াংছড়িতে পার্বত্য অঞ্চলের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কেএনএফ ও ইউপিডিএফের মধ্যে সংঘর্ষ ৮ জন মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে উপজেলার রুমা-রোয়াংছড়ির সড়কের খামতাম পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।শুক্রবার (৭ এপ্রিল) বেলা সাড়ে এগারোটা দিকে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোয়াংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. খোরশেদ আলম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানতে চাইলে বান্দরবানের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম বলেন, নিহতদের মধ্যে সাত জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- ভান দু বম, সাং খুম, সান ফির থাং বম, বয় রেম বম, জাহিম বম, লাল লিয়ান ঙাক বম ও লাল ঠা জার বম। ‘
এদিকে,বান্দরবানে থানচি, রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনালের কার্যক্রম বিস্তৃত হবার পর থেকে বাড়ছে সংঘাত। গেল মাসেও বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার রামথার কারবারি পাড়ায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনায় একজন নিহত ও দু’জন আহত হয়। নিহত থমচু বম (৭৪) রামথার পাড়ার কারবারি পাড়া প্রধান।
এ ঘটনার পর ওই এলাকায় জনমনে দেখা দেয় আতঙ্ক। রামথারপাড়াসহ আশেপাশের পাড়াগুলো থেকে লোকজন আতঙ্কে নিরাপদ জায়গায় সরে যায়। সেই থেকে ওই এলাকায় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা টহল দিচ্ছে। ওই ব্যক্তির মৃত্যুর পর সশস্ত্র সংগঠন কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট কেএনএফ দাবী করে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে মারা গেছে পাহাড়ি নেতা। বছরের শুরু থেকে পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে যৌথ বাহিনী। অনির্দিষ্টকালের জন্য রুমা ও রোয়াংছড়িতে পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হয় । এতোকিছু পাহাড়ি সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনীদের দমাতে পারে নি।
বৃহস্পতিবার রাতের সংঘর্ষ নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলছে না পুলিশ। হঠাৎ করে সংঘর্ষের কারণ সম্পর্কেও কোন ধারণা দিতে পারে নি পুলিশ।
রোয়াংছড়ি থানার ওসি আবদুল মান্নান জানান , ‘রোয়াংছড়ির খামতাম পাড়া এলাকা থেকে আট জনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহগুলো বান্দরবান সদর হাসপাতাল মর্গে আনা হচ্ছে। তবে কে বা কারা তাদের হত্যা করেছে তা জানা যায়নি। মরদেহগুলো কোন গ্রুপের তাও বলা যাচ্ছে না।’
এইবাংলা/তুহিন