::: দিলীপ দাস, প্রতিনিধি :::
ষষ্টী পূজা ও দেবীর অধিবাসের মধ্য দিয়ে পূজার শুরু হয়। মঙ্গলবার ছিল সপ্তমী পূজা। বৃহস্পতিবার দশমীতে শেষ হবে পাঁচ দিনের এ আয়োজন। মহাসপ্তমীতে পূজা মণ্ডপে ধান, দূর্বা, ফুল ও বেলপাতা দিয়ে দেবীর চরণে অঞ্জলি দেন ভক্তরা।
এরআগে সকালে উলু ধ্বনি, ঢাকের বাদন, কাসর, ঘন্টা ও শঙ্খ বাজিয়ে এবং পুরোহিতের মন্ত্রপাঠের মধ্যদিয়ে দেবীর পূজা হয়।রাজস্থলী উপজেলার বাঙ্গালহালিয়া কুতুরিয়া পাড়া শ্রী শ্রী শিব মন্দিরের পুরোহিত শ্রী কাজল চক্রবর্তী জানান, চৈত্র মাসের শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে বোধনের মধ্য দিয়ে বাসন্তী পূজা শুরু হয়।বসন্তকালে হয় বলে এর নাম বাসন্তী পূজা। শারদীয় দুর্গা পূজার তুলনায় এর আয়োজন কম হলেও ধর্মীয় তাৎপর্য কোনোভাবেই কম নয়।
কথিত আছে সুরত রাজা হারানো রাজ্য ফিরে পেতে বসন্তকালে দুর্গা দেবীর আরাধনা করেছিলেন। সেই বিশ্বাস থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন অশুভ শক্তিকে পরাভুত করতে বসন্তকালে এ পূজার আয়োজন করে আসছেন।পূজা মন্ডপের তন্তধারী পন্ডিত পংকজ ভুষন চৌধুরী জানান, দীর্ঘ বছর ধরে রাজস্থলী উপজেলার বাঙ্গালহালিয়া শ্রী শ্রী কুতুরিয়া পাড়া শিব মন্দিরে বাসন্তী মায়ের পূজা হয়ে আসছে। পূজাকে ঘিরে দৈনিক শত শত ভক্তদের সমাগম ঘটে। পূজাকে ঘিরে সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আরতি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এইবাংলা/হিমেল