18 C
Dhaka
Sunday, February 16, 2025
More

    বিএনপির কোন নেতারা নির্বাচনে যাচ্ছে?

    আরও পড়ুন

    :: বিশেষ প্রতিনিধি ::

    আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্দলীয় সরকারের দাবিতে অনড় থাকলেও বিএনপি নেতাদের বড় একটি অংশ নির্বাচনে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সম্প্রতি দলটির ভাইস প্রেসিডেন্ট শওকত মাহমুদের বহিষ্কারের পর ঘরে বাইরে এমন আলোচনা ডালপালা মেলেছে। জেলা উপজেলা পর্যায়ে বিএনপির কর্মসূচি দিয়ে রাজনীতির মাঠে সরব থাকার  চেষ্টার ফাঁকে সরকারের সাথে সমঝোতা করে নির্বাচনে যাবার বলয় তৈরি করা পক্ষটির সম্পর্কে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে দলটির শীর্ষ পর্যায় থেকে।

    দলের একাধিক নেতার সাথে কথা বলে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবার বিষয়ে  বিএনপির অনড় থাকার সিদ্ধান্ত  স্পষ্ট হলেও, নির্বাচনে অংশ না নিলে দলটির পরবর্তী ধাপের আন্দোলন সম্পর্কে তৈরি হয়েছে গোলক ধাঁধা। এরইমধ্যে দলের শীর্ষ পর্যায়ের বেশকজন নেতার সাথে পর্দার আড়ালে  আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের বৈঠকের কথা শোনা যাচ্ছে। তবে বিএনপি- আওয়ামী লীগ  কোন পক্ষই বিষয়টি সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু বলতে রাজি নন।

    কুটনৈতিক সুত্রমতে, গ্রহনযোগ্য  জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ দাতা রাষ্ট্রগুলোর চাপ কমাতে যে কোন মুল্যে বিএনপি ও সমমনাদের নির্বাচনে নিয়ে আসার জন্য আওয়ামী প্রবীণ নেতারা আলোচনা চালাচ্ছেন বিএনপি নেতাদের সাথে। তত্বাবধায়ক সরকার না হলেও মাঝামাঝি কোন স্বচ্ছ কাটামো চায় বিএনপি। দাতা রাষ্ট্রগুলোও তেমন কোন সমাধান খুঁজছেন দুই দলের সাথে আলোচনা করে। এরই মাঝে নির্বাচন সামাল দিতে বিএনপি ভেঙে নতুন প্লাটফর্ম তৈরির বিষয়ে নানা কানাঘুঁষা বিব্রত করছে বিএনপিকে।

    রাজনীতির মাঠে বিএনপি নেতাদের কারা নির্বাচনে অংশ নিতে চায়- সেই বিষয়ে বাড়ছে সন্দেহ। এরই মধ্যে দলের চেয়ারম্যান বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরেক দফা বাড়িয়েছে। নির্বাচন কমিশনও নির্বাচন ইস্যুতে বিএনপিকে আলোচনা প্রস্তাব দিয়েছে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর সাথে কমিশনের নির্বাচনী সংলাপের প্রস্তাবনা পুরোটাই কৌশলগত।

    দলের ভেতরে ভিন্নমত লালন করা অংশটিকে দমনে শওকত মাহমুদকে বহিষ্কার  করা হয়েছে এমন বিশ্লেষণকে উড়িয়ে দিয়ে দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ বলেন, তাকে বারবার সতর্ক করা এবং শোকজ করা সত্ত্বেও তিনি দলের কাউকে না জানিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন বলেই তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর পেছনে ভিন্নমত দমনের কোনো ব্যাপার নেই। ‘

    বিএনপির নীতিনির্ধারকরা বলছেন, নির্বাচনী ব্যবস্থা ও সংলাপের চোরাবালিতে আটকে যাওয়া  দেশের গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে চায় ষোল বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। এরমধ্যে দলের কোন কোন নেতা নির্বাচনে যেতে চায় সেই বিষয়ে খোঁজ রাখছেন দলের শীর্ষ নেতারা। তারা বলছেন সমঝোতা কিংবা আলোচনার টেবিলে নয় তারা সমাধান খুঁজবেন রাজপথেই।

    অন্যদিকে, রাজপথে বিএনপিকে মোকাবেলা করার ক্ষেত্রে কৌশলী আওয়ামী লীগ। সুত্রমতে, দেশের সাধারন মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিয়ে সরকারি দলের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠাও কাজ করছে। তবে বিএনপির চলমান আন্দোলনকে পাত্তা না দিয়ে নিজেদের  নেতাকর্মীদের মনোবল চাঙা রাখা এবং বিরোধী পক্ষের মনোবল ভেঙে দেয়ার কৌশল নিয়েছে ক্ষমতাসীনরা। একারণে বিএনপির নানা কর্মসূচিকে ঘিরে সরকারি দলের শীর্ষ নেতারা বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বিএনপির প্রতি তির্যক মন্তব্য ছুড়ে দিচ্ছেন।

    সারাদেশে বিএনপির কর্মসূচিকে ছাড় দিয়ে ঢাকার সমাবেশকে দুর্বল করতে চায় সরকার। সে জন্য নানা কৌশল নিয়েছে আওয়ামী লীগ । বিএনপির একটি পক্ষ নির্বাচন করতে চায়- এমন প্রচারণাও সেই কৌশলের অংশ  হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisement -spot_img

    সবশেষ খবর