চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রকল্প পরিচালক গোলাম ইয়াজদানির কার্যালয় ভাংচুর ও তাকে মারধরের ঘটনায় জড়িত অধিকাংশ ঠিকাদারই রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে বেশ কয়েকজনকে শনাক্ত করেছে পুলিশ।
চসিকের প্রকল্প পরিচালক গোলাম ইয়াজদানির উপর হামলাকারীরা রাজনৈতিক দলের কর্মী
ঠিকাদারদের দ্বারা আক্রান্ত হবার গল্পো সাজানো হলেও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কার্যালয়ে ডুকে প্রকল্প পরিচালক গোলাম ইয়াজদানির উপর হামলার সাথে জড়িতদের অধিকাংশই রাজনৈতিক দলের কর্মী। টেন্ডার বাণিজ্যে আধিপত্য বিস্তার করতে হামলা করা হয়েছে এই প্রকৌশলীর উপর। সচিকের করা মামলার আসামী এস জে ট্রেডার্স নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক সাহাব উদ্দিন এক সময় বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলেও, বর্তমানে সরকারি দলের নেতাদের সাথেই তার সখ্যতা বেশি। জানা গেছে হামলার মুল নেতৃত্বদানকারী শাহ আমানত ট্রেডার্সের মালিক যুবলীগ নেতা সঞ্জয় ভৌমিক কংকন। কংকন এক সময় এমইএস কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তীতে নগর ছাত্রলীগের পাঠাগার সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। প্রয়াত মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ জন হিসেবে পরিচিত কন্কন নগর যুবলীগের রাজনীতিতে সক্রিয়। সুত্রমতে, চসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী জসিম উদ্দিনের সাথে পার্টনারে সিটি করপোরেশনের বেশ কিছু ঠিকাদারি কাজ করেছেন কন্কন। নন্দনকানন ভিক্তিক তার বাহিনী রয়েছে এমন তথ্য মিলেছে অনুসন্ধানে।
জয় ট্রেডার্স নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠানের মালিক সুভাষ। সিসিটিভি ফুটেজ অনুযায়ী তিনিও প্রকল্প পরিচালকের উপর হামলার সাথে জড়িত। সুভাষ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের রাজনীতিতে সক্রিয়। সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কাছাকাছি থাকার কারণে ঠিকাদারিতে জড়িয়ে পড়েন। ঠিকাদারদের সাথে কথা বলে জানা যায় রাজনৈতিক তৎপরতা চালাতে গিয়ে ককটেল বিষ্ফোরনে তার একটি হাত ঝলকে যাবার কারণে সিটি করপোরেশনের বর্তমানে মেয়র রেজাউল করিমের সহানুভূতি পাবার কথা প্রচলিত আছে।
হামলার ঘটনায় জড়িত মেসার্স খান কর্পোরেশনের মালিক হাবিব উল্ল্যাহ খান ; রাজনীতিতে জড়িত নন। তবে মেয়র রেজাউল ঘরনার ঠিকাদার হিসেবে পরিচিত তিনিও।

জ্যোতি এন্টারপ্রাইজের আশীষ বাবু যুবলীগের কর্মী বলে জানা গেছে। চসিকের বিভিন্ন প্রকল্প কাজ করার কারণে প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম সাথে তার ঘনিষ্ঠ রয়েছে -এমন তথ্য দিয়েছে চসিকের প্রকৌশল বিভাগের একাধিক সুত্র।
এস জে ট্রেডার্স নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক সাহাব উদ্দিন এক সময় বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলেও, বর্তমানে সরকারি দলের নেতাদের সাথেই তার সখ্যতা বেশি। হামলার মুল নেতৃত্বদানকারী
শাহ আমানত ট্রেডার্সের অংশীদার যুবলীগ নেতা সঞ্জয় ভৌমিক কংকন। কংকন এক সময় এমইএস কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তীতে নগর ছাত্রলীগের পাঠাগার সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। প্রয়াত মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ জন হিসেবে পরিচিত কন্কন নগর যুবলীগের রাজনীতিতে সক্রিয়। সুত্রমতে, চসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী জসিম উদ্দিনের সাথে পার্টনারে সিটি করপোরেশনের বেশ কিছু ঠিকাদারি কাজ করেছেন কন্কন।
শাহ আমানত ট্রেডার্স নামের প্রতিষ্ঠানের আরেক অংশীদার সুভাষ। সিসিটিভি ফুটেজ অনুযায়ী তিনিও প্রকল্প পরিচালকের উপর হামলার সাথে জড়িত। সুভাষ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের রাজনীতিতে সক্রিয়। সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কাছাকাছি থাকার কারণে ঠিকাদারিতে জড়িয়ে পড়েন। ঠিকাদারদের সাথে কথা বলে জানা যায় রাজনৈতিক তৎপরতা চালাতে গিয়ে ককটেল বিষ্ফোরনে তার একটি হাত ঝলকে যাবার কারণে সিটি করপোরেশনের বর্তমানে মেয়র রেজাউল করিমের সহানুভূতি পাবার কথা প্রচলিত আছে।
হামলার ঘটনায় জড়িত মেসার্স খান কর্পোরেশনের মালিক হাবিব উল্ল্যাহ খান ; এখন সরাসরি রাজনীতিতে জড়িত নন। তবে পারিবারিক রাজনৈতিক পরিচয় ছাপিয়ে মেয়র রেজাউল ঘরনার ঠিকাদার হিসেবে পরিচিত তিনিও। তার পরিবারের দুজন সদস্য জামাত ইসলামের নেতা। নিজেও জামাত শিবির সংশ্লিষ্ট।
জ্যোতি এন্টারপ্রাইজের আশীষ বাবু যুবলীগের কর্মী বলে জানা গেছে। চসিকের বিভিন্ন প্রকল্প কাজ করার কারণে প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম সাথে তার ঘনিষ্ঠ রয়েছে -এমন তথ্য দিয়েছে চসিকের প্রকৌশল বিভাগের একাধিক সুত্র।
সিটি কর্পোরেশনের ঠিকাদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু ফরহাদ চৌধুরী বলেন, ভাঙচুরের কথা শুনে আমার নিজের কাছেও অস্বস্তি লাগছে। তাদের কোনো দাবি–দাওয়া থাকলে আমাদের বলতে পারত।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হামলার ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত। মন্ত্রনালয়গুলো সিদ্ধান্তে এলজিইডির প্রকৌশলী ইয়াজদানীকে চসিকের প্রকল্প পরিচালক করার বিষয়টি নিয়ে শীর্ষ কর্মকর্তাদের মাঝে অসন্তোষ ছিল। কমিশনের মাধ্যমে টেন্ডারে কাজ ভাগাভাগি বাধাগ্রস্ত হবার কারণে ঠিকাদারদের ব্যবহার করা হয়েছে।
চসিকের প্রকৌশলীর উপর হামলার নেপথ্য কাহিনি। হামলার ঘটনা পরিকল্পিত। ঠিকাদারদের সবাই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় ব্যবসা করেন। নেপথ্যে প্রকৌশলীদের টেন্ডার বাণিজ্য।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের দরপত্রের আগেই গোপন প্রাক্কলন নথি ফাঁস করে দেয়া হয়। গোপন সমঝোতার মাধ্যমে টেন্ডারের কাজ বিক্রি করেন প্রকৌশলীদের সিন্ডিকেট। বেলাল নামের এক অফিস সহকারীর কম্পিউটার থেকে অধিকাংশ দরপত্র জমা দেয়া হয়।