::: পিরোজপুর প্রতিনিধি :::
সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কজনক গণহত্যা দিবস রাতে পিরোজপুরে জেলা রেজিষ্ট্রার কার্যালয়ে জ্বলেছে বর্ণিল আলো। কালরাতেই আলোকসজ্জা করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা থেকেই শহরের প্রাণকেন্দ্র কৃষ্ণচূড়া মোড়ে জেলা রেজিষ্ট্রার কার্যালয়ে জালানো হয়েছে জমকালো আলোকসজ্জা। বিষয়টি পিরোজপুরের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এমন আলোকসজ্জ্বা ইতিমধ্যেই টক অব দ্যা টাউনে পরিনত হয়েছে।
জেলা রেজিষ্ট্রার কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, মহান স্বাধীনতা দিবসকে কেন্দ্র করে তাদের এই আয়োজন বলে দাবী করেন নৈশ্য প্রহরী।
তিনি বলেন, অফিসের নির্দেশনা অনুয়ায়ী অফিসের পিয়ন আলোকসজ্জার বাতি জালিয়েছে। তবে এবিষয়ের জন্য অফিসকেই দায়ী করেন নৈশ্য প্রহরী।
সুশিল সমাজের প্রতিনিধিদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে নানাবিধ গুঞ্জন দেখা দিয়েছে। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কজনক গণহত্যার রাতে জমকালো আলোকসজ্জা ভিন্ন কিছুকে নির্দেশ করে। এটি স্বাধীনতা বিরোধী আচারনের স্বামিল।
জেলা রেজিষ্ট্রার কার্যালয়ের নৈশ্য প্রহরী আফজাল হোসেন জানান, তিনি শুধু রাতেই অফিসে ঘুমান। জেলা রেজিষ্ট্রার কার্যালয়ে আলোকসজ্জা জালানোর বিষটি অফিস কতৃপক্ষ জানেন, তিনি কিছুই জানেন না। তবে অফিসের নির্দেশনা মতে অফিসের পিয়ন আলোকসজ্জার বাতি জালিয়েছে।
পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান বলেন আলোকসজ্জার বিষয়ে আগেই সকলকে সরকারি নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।তবে এবিষয়ে কথা বলতে পিরোজপুরে জেলা রেজিষ্ট্রারকে তার মোবাইল ফোনে বারবার কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
এইবাংলা/হিমেল