20 C
Dhaka
Friday, February 14, 2025
More

    আদালতের নিষেধাজ্ঞাকে তোয়াক্কা করেন না নু এমং মারমা

    আরও পড়ুন

    ::: নাদিরা শিমু :::

    চট্টগ্রামের কাজির দেউড়ীস্থ আউটার স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালানোর সময় আদালতের নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য করার অভিযোগ উঠেছে জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার নু এমং মারমার বিরুদ্ধে।

    জানা যায়, অভিযানে আউটার স্টেডিয়ামের পূর্ব ও উত্তর পাশের সীমানা দেয়াল ধরে গড়ে ওঠা ‘বাগান বিলাস’ নামে একটি রেস্তোরাঁ উচ্ছেদ করা হয়। পাশাপাশি কাজীর দেউড়ি নার্সারি, জুসের দোকানসহ আরও কিছু দোকান উচ্ছেদ করা হয়। চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা স্থানীয় এই রেস্টুরেন্টের মালিককে ৩১ শে মার্চ পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন । কিন্তু জেলা প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযানকারী দল সেই রেস্টুরেন্টটিও উচ্ছেদ করে দেন । এসময় জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাসির উদ্দীন স্বাক্ষরিত চিঠি দেখানো হলোও সেই চিঠিকে আমলে নেন নি অভিযান পরিচালনাকারী ম্যাজিস্ট্রেট।

    স্থাপনা উচ্ছেদের জায়গাগুলো সিজেকেএসের বলে দাবি করে সিনিয়র সহকারী কমিশনার নু এমং মারমা মং বলেন, ‘ প্রধানমন্ত্রী খেলার মাঠ দখলমুক্ত করার নির্দেশনা দিয়েছেন। তার অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসক এই এলাকা পরিদর্শন করে তাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। এরপরও তারা সরেনি। তাই এই উচ্ছেদ কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। ‘

    কিন্তু সিজেকেএস’র সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাসির উদ্দীন সেই রেস্টুরেন্টের মালিককে ৩১ তারিখ পর্যন্ত সময় দিয়েছেন, এরআগেই কেন উচ্ছেদ করা হচ্ছে – সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তর দেন নি তিনি।

    স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, উচ্ছেদ অভিযান চলাকালীন সময়ে  আদালতের নিষেধাজ্ঞার কাগজ দেখানো হলেও ম্যাজিস্ট্রেট  দম্ভোক্তি করে গ্রেফতারের ভয় দেখান ব্যবসায়ীদের।

    এদিকে,  ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা রবিবার বিকেলে এমন উচ্ছেদকে অবৈধ বলে দাবি করে  মানববন্ধন করেছে। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন,  সিনিয়র সহকারী কমিশনার নু এমং মারমাকে আদালতের নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেখাতে চাইলে তিনি উল্টো গ্রেফতারের ভয় দেখিয়েছেন। উচ্চ আদালতের নির্দেশনাকে তোয়াক্কা না করে ব্যবসায়ীদের ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে।

    ফিউশন ডিজাইন এন্ড ইন্জিনিয়ারিং নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক  এম এ হোসেন বাদল জানান,  উত্তর পূর্বপাশে ফুটপাতে  নাগরিক সুবিধার উন্নয়ন ও সৌন্দর্য বন্ধনের  স্থাপনা উচ্ছেদে উচ্চ আদালত নিষেধাজ্ঞা দেয় ( রুল ৩৩৫৭/২৩) । নিষেধাজ্ঞার সেই আদেশের লয়ার সার্টিফিকেটসহ ১৬ ই মার্চ চিঠি দিয়ে সিজেকেএসের সভাপতি, সাধারন সম্পাদককে জানানো হয়েছে। কিন্তু আজ জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার নু এমং মারমা অভিযান চালিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট স্থাপনা। আদালতের স্থিতিআদেশ সম্পর্কে তিনি কিছু শুনতেও চান নি। উল্টো গ্রেফতারের হুমকি দেয়া হয়।  ‘

    এইবাংলা/তুহিন

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisement -spot_img

    সবশেষ খবর