::: নিজস্ব প্রতিবেদক :::
ঢাকা খুলনা মহাসড়কের শিবচর এলাকার কুতুবপুরে ইমাদ পরিবহনের বাস দূর্ঘটনা অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার সকাল পৌনে আটটার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। জানা যায় বাসটির চালক পৌনে আটটার দিকে পদ্মা সেতুর আগে এক্সপ্রেসওয়ের কুতুবপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারান। বাসটি রেলিং ভেঙে খাদে পড়ে যায়। এতে বাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়। সকাল ৯টা পর্যন্ত ১৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (১৯ মার্চ) দুর্ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় ৯ জনকে উদ্ধার করে ঢামেক আনা হয়। এর মধ্যে তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। বাকি সাতজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের অবস্থাও আশংকাজনক বলে জানা গেছে। এছাড়া হাসপাতালে নেবার পথে আরও চারজনের মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ইমাদ পরিবহনের বাসটি ভোর সাড়ে চারটায় খুলনা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়।এরপর পদ্মাসেতুর আগে শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় এক্সপ্রেসওয়েতে নিয়ন্ত্রণ হারায় সেটি।
স্থানীয়রা জানায়,সকালে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ইমাদ পরিবহনের একটি বাস মাদারীপুরের শিবচরের পদ্মাসেতুর আগে এক্সপ্রেসওয়ের কুতুবপুর এলাকায় এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এসময় দুমড়ে মুচড়ে যায় বাসটি। ঘটনাস্থল থেকে ১৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজন সুইটি (২০)। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তার বাবার নাম মাসুদ মিয়া। সুইটির বাড়ি গোপালগঞ্জ সদরের পাঁচুরিয়া গ্রামে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহত অন্যদের পরিচয় জানা যায়নি।
একটি সুত্রমতে, এইবাসে ৪৩ জন যাত্রী ছিলো বলে জানা গেছে, তাদের অধিকাংশই মারা যান। সর্বশেষ হাসপাতালে সাতজন চিকিৎসাধীন রয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাতজন হলেন- ফয়সাল আহমেদ (৩৬), আব্দুল হামিম (৫০), বদরুদ্দোজা (৩০), পঙ্কজ কান্তিজ ঘোষ (৪০), ঝুমা (৩৪), বুলবুল (৫০) এবং এনামুল (৪০)।
এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া গণমাধ্যমকে জানান, শিবচরে বাস দুর্ঘটনায় আহত ৯ জনকে হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে দুজন মারা গেছেন। বাকিরা জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন। ‘
মাদারীপুর জেলার পুলিশ সুপার মোঃ মাসুদ আলম
বলেন, এই দূর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে নেয়া হয়েছে গুরুতর আহত নয়জনকে ।
হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি সালমা বেগম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানান, এক্সপ্রেস সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায় বাসটি। এখন পর্যন্ত ২০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা এখনো নিহতদের কারো নাম ঠিকানা শনাক্ত করতে পারিনি। শনাক্ত করা গেলে তাদের পরিবার হাতে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
এইবাংলা/হিমেল