25 C
Dhaka
Monday, March 24, 2025
More

    ফ্লোরিডায় দুই রাজাকারপুত্র, রাজার হালে করছেন আওয়ামী লীগ- বিএনপি

    ' মোড়লিপনার রাজনীতি'

    আরও পড়ুন

    ::: নিজস্ব প্রতিবেদক :::

    যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপে আওয়ামী লীগের শক্তিশালী সংগঠন গড়ে উঠেছে আশির দশক থেকে। দেশে ১৯৯৬ সালের আগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তৃনমুল পর্যায়ের সাংগঠনিক কার্যক্রম শক্তিশালী হবার পেছনে দলটির বিদেশের শাখা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। যদিও দেশের নির্বাচন কমিশন  আইন অনুযায়ী বিদেশে রাজনৈতিক দলের শাখা অনুমোদনের বৈধতা নেই। তারপরও যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং যুক্তরাজ্যে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম অত্যন্ত শক্তিশালী।

    কিন্তু গত চৌদ্দ বছরে বিদেশে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছে ‘স্বাধীনতা বিরোধী ‘  পরিবারের সদস্যরা। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্টেটের আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়,  মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষে বিতর্কিত ভূমিকা রাখা বিভিন্ন পরিবারের সদস্যদের পুনর্বাসন হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায়। দেশের বাইরে বিএনপি আওয়ামী লীগের  রাজনীতিতে এমন স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির উত্তান ঘটেছে দুই প্রধান দলের নেতাদের আস্কারায়।

    যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান। তার বাড়ি ফটিকছড়ি উপজেলার নানুপুরে। নানুপুর গ্রামের আজগর আলী পণ্ডিত বাড়ির মৌলবী মইনুদ্দিন ( মুজিবের বাবা) তালিকাভুক্ত রাজাকার।একাত্তরে মৌলবী মইনুদ্দিনের বিতর্কিত ভূমিকার জন্য ফটিকছড়িতে যতোটা নিন্দিত তার ছেলেরা যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপি -আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ততোটাই প্রভাবশালী এবং নন্দিত।  বাংলাদেশ জাতীয় পার্টিতে সক্রিয় থাকা মুজিব উদ্দিন কখনও ছাত্রলীগ, যুবলীগ কিংবা আওয়ামী লীগের সদস্যও ছিলেন না ; টাকার জোরে হটাৎ করেই আবির্ভূত হন ফ্লোরিডা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে। মৌলবী মইনুদ্দিনের দুই ছেলেই  যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ে নেতা। একভাই ফ্লোরিডা আওয়ামী লীগের সাধারণ  সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান। অন্যভাই আরিফ আহমেদ আশফাক  ফ্লোরিডা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আস্থাভাজন নেতা।

    তারেকের সাথে টেলি -কনফারেন্সে আশরাফ

    মৌলবী মঈনুদ্দিনের স্বাধীনতা যুদ্ধে বিতর্কিত ভূমিকা এলাকার মানুষের মুখে মুখে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে নানুপুরে আলোচিত নূর আহমদ চেয়ারম্যানসহ এলাকার বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক হত্যার নেপথ্যে যেসব রাজাকারের ভূমিকা ছিলো তাদের অন্যতম মৌলবী মঈনুদ্দিন বলে কথিত আছে। মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল ফটিকছড়ি প্রকাশিত বইয়ের ৯৯ পৃষ্ঠায় ( ক্রম – ১৫) তার নাম রাজাকার হিসেবে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি নানুপুর ইউনিয়নে শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। স্বাধীনতা পরে দীর্ঘদিন লোকচক্ষুর অন্তরালে ছিলেন তিনি।  পরে ফটিকছড়ির মজহারুল উলুম গাউছিয়া ফাযিল মাদ্রাসা স্থাপন করে রাজাকার হিসেবে সেই বিতর্কিত অতীত মুছতে প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন জীবদ্দশায়। প্রচার আছে মাদ্রাসার জন্য অনুদান হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যের দানের টাকায় কপাল খুলে তার।

    প্রবাসীদের দেয়া তথ্যমতে, দুই রাজাকার পুত্র আওয়ামী লীগ ও বিএনপির রাজনীতিতে নিজেদের  নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে ‘ টাকার জোরে’। নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরান দেশের দুই দলের বাঘাবাঘা নেতাদেরও।প্রতিবেদকরের হাতে আসা একটি চিঠিতে দেখা যায় ২০২০ সালে  মুক্তিযোদ্ধা শিরু বাঙালি একটি প্রত্যায়ন পত্রে মৌলবী মঈনুদ্দিনকে ফটিকছড়ির রাজাকার হিসেবে শনাক্ত করেছিলেন।

    যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপির সভায় আশরাফ

    অনুসন্ধানে জানা যায়,  চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে হজ কাফেলা ও নিকাহ রেজিস্ট্রির আড়ালে রমরমা মাদক ব্যবসা করে আসছিলেন তাদের আরেকভাই মনির উদ্দিন আহমেদ। সেই চক্রে ছিলেন সুন্দরপুর ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্টার ও গাউছিয়া হজ গ্রুপের চেয়ারম্যান কাজী শোয়াইব। ২০২০ সালের  ১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে ফটিকছড়ি  উপজেলা সদরের ডাক বাংলাের পাশের ভবন (হজ কাফেলার কার্যালয়) থেকে তিন সহযোগীসহ মনিরউদ্দিনকে আটক করে পুলিশ।সেসময় ওই হজ কাফেলার কার্যালয়ে পাওয়া যায় ১ হাজার ৫০ পিস ইয়াবা, ইয়াবা বিক্রির নগদ দেড় লাখ টাকা ও ৬টি মোবাইল ফোন।

    ফ্রোরিডায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পরিচয় বিক্রি করে চলেন মুজিব উদ্দিন। দেশ থেকে আওয়ামী লীগের নেতারা যুক্তরাষ্ট্র গেলে ভিভিআইপি ট্রিটমেন্টে আপ্যায়িত হন এই রাজাকার পরিবারের। আর ভিন্ন শিবিরে তারেক রহমানের অতি ঘনিষ্ঠ এমন পরিচয় ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে প্রচার করেন মুজিব উদ্দিনের ভাই ফ্লোরিডা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আরিফ আহমেদ আশরাফ।

    মুজিব আরেক ছোট ভাই সরফুদ্দিন ছিলেন ডাকসাইটে জামাত নেতা।  ব্যাংকের দুইশো কোটি টাকা ঋণ নিয়ে পালিয়ে যান যুক্তরাস্ট্রে। দেশের টাকা লুট করে এখন এই রাজাকারপুত্র সুরফুদ্দিন আস্তানা গেঁড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্যমতে, এখন পলাতক হিসেবে আত্মগোপন করে মুজিবের বাসায় অবস্থান করছেন তিনি। কোন বৈধ পরিচয়পত্র ছাড়াই দেশের টাকা মেরে অবস্থান করছেন যুক্তরাষ্ট্র। ব্যাংকের টাকা মেরে বিদেশে নিয়ে  পাম বিচ কাউন্টি এলাকায়   প্রতিষ্ঠা করেছেন নতুন ব্যবসা।  মোহাম্মদ সরফুদ্দিনের বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থ পাচার, মাদক পাচারের মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ আছে।

    ফরচুন লজিস্টিক ও ফরচুন শিপইয়ার্ডের মালিক মো. সরফুদ্দিন ইসলামিক ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের (আইএফআইএল) আগ্রাবাদ শাখা থেকে সাড়ে পাঁচ কোটি ঋণ নিয়ে প্রতিষ্ঠান দুটি বন্ধ করে  সাত কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ২০১৫ সালে ২৩ মার্চ গ্রেফতার হন পুলিশের হাতে। এছাড়া সরফুদ্দিনের মালিকানাধীন ফরচুন ডেভেলপারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে ঋন প্রায় ২৭০ কোটি টাকা৷ ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করে সেই টাকা যুক্তরাষ্ট্রে পাচারের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

    জানা যায়,  মধ্যপ্রাচ্যের আর্থিক অনুদানে চলা গাউসিয়া মাদ্রাসাটির প্রিন্সিপাল মোসলেম উদ্দিন,  মুজিব উদ্দিনের আরেকভাই যিনি এখনও বিদেশ থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠান এবং মাদ্রাসার উন্নয়নের নামে আর্থিক অনুদান সংগ্রহে সিদ্ধহস্ত। মুজিব উদ্দিনের বাকি দুইভাই বর্তমানে বাংলাদেশে বসবাস করছেন ;  তারাও শতকোটি টাকার মালিক। এই দুই ভাই নেজাম উদ্দিন,
    কুতুব উদ্দিন উভয়ই ব্যবসায়ী, তারা বিপুল অর্থ সম্পদের মালিক বনেছেন। বিভিন্ন  অবৈধ ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও।

    আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যেভাবে রাজাকার পুত্র ‘মুজিব’

    ফটিকছড়ির আলোচিত (তালিকায় ১৪ নং নানুপুর, নং ১৫) রাজাকারের সন্তান মুজিবউদ্দিনকে যখন  ফ্লোরিডা স্টেট আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক করা হয় তখন বিষয়টি দলের কেন্দ্রীয় শাখা অবগত ছিলো না। দলের সুত্রমতে,  প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিকে ভুল তথ্য উপস্থাপন করে যখন ফ্লোরিডায় রাজাকারপুত্র মুজিবকে দলে ডুকানো হয় তখনও ফ্লোরিডা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আরিফ আহমেদ আশরাফ। টাকার জোরে আড়াল করা হয়  তারেক রহমানের অর্থের অন্যতম যোগানদাতা আশরাফের বড় ভাই এই মুজিব উদ্দিন। সুত্রমতে, মুজিব উদ্দীনকে আবারও ফ্লোরিডা স্টেট আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক করার তদবির  চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খ্যাত ফজলুর রহমান ।

    সুত্রমতে,  মোহাম্মদ মুজিব উদ্দিন গতবার মোল্লা ফজলুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য  এক লাখ ডলার দিয়েছিলেন। রাজাকারপুত্র মুজিবের হাত অনেকখানি লম্বা, বর্তমানে আওয়ামী  অন্তত এক ডজন এমপি- মন্ত্রী পুষছেন তিনি। ফলে আওয়ামী লীগের রাজনীতির রিমোট কন্ট্রোল মুজিব উদ্দিনের হাত থেকে সরানো সম্ভবই নয়।

    যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের একাধিক সুত্রমতে,  ফজলুর রহমান  ফ্লোরিডা আওয়ামী লীগের  কাউন্সিলে এসে রাজাকার পরিবারের সদস্য দিয়ে  কমিটি পরিপূর্ণ করলেও, আওয়ামীশূন্য করেছেন।

    জানতে চাইলে ডা: সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘ আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষেরদল। তবে সত্যি কথা হলেন রাজাকার বা তাদের বিতর্কিত  বংশধররা বিভিন্ন ছায়া ধরে দলে অনুপ্রবেশ করেছেন। ইউএসএ আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোল্লা ফজলুর রহমান গত বছরের সেপ্টেম্বরে ইউএসএ  অনুমোদনের জন্য একটি নতুন কমিটি নিয়ে এসেছিলেন। পারিবারিক পরিচয় জানাজানি হবার কারণে সেই কমিটি অনুমোদন করা হয় নাই।  আসলে মোল্লা ফজলুর রহমানের হাত ধরেই মুজিবের অনুপ্রবেশ ঘটেছে আওয়ামী লীগে। তবে শুনেছি সভাপতি, সাধারণ সম্পাদককে ভুল তথ্য দিয়ে রাজাকারপুত্র মুজিবকে নিয়ে কমিটি করা হয়েছে। তবে সে ধরনের লিখিত কোন কমিটি গঠনের কথা আমি জানি না।   ‘

    দলের সুত্রমতে,  ১৩ মার্চ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ফ্লোরিডা আওয়ামী লীগের নতুন  কার্যকরী কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন। সেই কমিটিতে আবারও সাধারণ সম্পাদকের পদে রাখা হয়েছে রাজাকারপুত্র মুজিব উদ্দিনকে।

    রাজাকারের আরেক পুত্র আশরাফ পুষেন তারেক চ্যালাদের 

    মুজিবের ভাই আরিফ আহমেদ আশরাফ অন্তত ২০ বছর ধরে সক্রিয় বিএনপির রাজনীতিতে । তিনি ফ্লোরিডা স্টেট বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। তিনি সম্প্রতি ২০২৩ সালের ১২ মার্চ বিএনপির কাউন্সিলে সম্মানিত হয়েছেন।

    কমিউনিটি নেতারা জানান, সাত র‌্যাব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আগে আরিফ আহমেদ আশরাফ দুই মিলিয়ন ডলার প্রদান করেছিলেন একটি পিআর ফার্মকে। যুক্তরাষ্ট্রের বিএনপির কর্মসূচি বাস্তবায়নে মুল অর্থের যোগান দিচ্ছেন এই রাজাকারপুত্র।

    যুক্তরাজ্য বিএনপি বেশ কয়েকজন নেতা স্বীকার করেছেন আশরাফের এই ডোনেশানের বিষয়। তবে তাদের দাবি সেই টাকা পিআরকে দেয়া হয় নি। দলের কর্মসূচিসহ বিভিন্ন  কাজে লাগানো হয়েছে।

    এই বিষয়ে জানতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। আর বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বলছেন যুক্তরাষ্ট্র শাখা  সরাসরি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেখাশোনা করেন। সেকারণে রাজাকার পরিবারের বিষয়ে মুখ খুলতে চান নি তারাও। যদিও নির্বাচন কমিশন আইনে কোনো রাজনৈতিক দলের বিদেশে শাখা বা অফিস খোলায় নিষেধাজ্ঞার কারণে এসব কমিটি অনুমোদন এবং গঠন করা হয় আন-অফিসিয়ালি। মৌখিকভাবে করা হয়। এই মৌখিক নির্দেশনার ছাতা ধরে  মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের দুইদলেই ভীড় করছে রাজাকার পরিবারের সদস্যরা।

    খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফটিকছড়ি উপজেলার নানুপুর এলাকায় মৌলবী মঈনুদ্দিনের পারিবারিক প্রভাব আছে। সুত্রমতে, ২০১৯ সালেও ফটিকছড়ির নানুপুরে ( একই এলাকা) ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আরেক রাজাকার পুত্র ওসমান গণি বাবুকে আওয়ামী লীগের   মনোনয়ন পাইয়ে দেন এই মুজিব উদ্দিন। মুজিব উদ্দিনের প্রভাবে সেবার ‘ নৌকা ‘ তুলে দেয়া হয় আরেক চিহ্নিত রাজাকার ইলিয়াসের ছেলে ওসমান গনি  বাবু’র হাতে।

    অনুসন্ধানে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের দুই নেতা ফ্লোরিডার কমিটি অনুমোদন দেবার কথা বলে দুই লাখ চল্লিশ হাজার ডলার হাতিয়ে নিয়েছেন পদপ্রত্যাশী চার নেতার কাছ থেকে। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করে ‘ রাজাকার পরিবারের সদস্য ‘ বিতর্কিত মুজিব উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক করার অনুমোদন নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা  ফজলুর রহমান। মহান স্বাধীনতার মাসে দলের নীতি ও নেতার সাথে  এমন বিশ্বাসঘাতকতাকে আদর্শিক  পদস্খলন হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।

    মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে নানুপুরে আলোচিত নূর আহমদ চেয়ারম্যানসহ এলাকার বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক হত্যার নেপথ্যে যেসব রাজাকারের ভূমিকা ছিলো তাদের অন্যতম মৌলবী মঈনুদ্দিন বলে কথিত আছে। মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল ফটিকছড়ি প্রকাশিত বইয়ের ৯৯ পৃষ্ঠায় ( ক্রম – ১৫) তার নাম রাজাকার হিসেবে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি নানুপুর ইউনিয়নে শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন।

    ———————————————–

    স্বাধীনতার মাসে প্রতিবেদনটি তৈরিতে প্রবাসী বাংলাদেশি ও দেশ বিদেশের গণমাধ্যমকর্মীরা সহযোগিতা করেছেন। কৃতজ্ঞতা মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্রের প্রতি।  ♦

    - Advertisement -spot_img

    সবশেষ খবর