::: নিজস্ব প্রতিবেদক :::
হত্যা মামলার আসামির সাথে দুবাইয়ে স্বর্ণের দোকান উদ্বোধন করার বিষয়ে প্রয়োজনে সাকিব আল হাসান, হিরো আলমসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জিজ্ঞেসাবাদ করা হবে জানিয়েছে পুলিশ। আরাভ জুয়েলার্স নামের জুয়েলারি দোকানটির মালিক হত্যা মামলার পলাতক আসামি।
বৃহস্পতিবার ডিএমপির ডিবি শাখার পক্ষ থেকে ডিসি হারুনুর রশিদ সাংবাদিকদের জানান, তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজনে ক্রিকেটার সাকিব ও হিরো আলমকে জিজ্ঞেসাবাদ করা হবে।
দুবাইয়ে বুধবার আরাভ জুয়েলার্স নামের এই স্বর্ণের দোকান উদ্বোধনে যোগ দেন বিশ্বসেরা ক্রিকেট অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ও হিরো আলম। দুবাইয়ের যে জুয়েলারি দোকান উদ্বোধন করতে যান সাকিব, সেই দোকানটির মালিক হত্যা মামলার পলাতক আসামি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিলেও শেষমেশ ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। তবে উদ্বোধনী মঞ্চে না উঠেই ১০ মিনিটের মাথায় অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে চলে যান এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিগত ২০১৮ সালে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) স্কুল অব ইন্টেলিজেন্স পরিদর্শক মামুন ইমরান খানকে (৩৪) পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। সেই হত্যা মামলার ৬ নম্বর আসামি আরাভ খান।ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ করে মঙ্গলবার রাতেই দুবাই উড়ে যান সাকিব আল হাসান। সেখানে যোগ দেন আরাভ জুয়েলার্স উদ্বোধনে।
ডিবির ঊর্ধ্বতন এক কর্তা সংবাদ মাধ্যমটিকে জানিয়েছেন, জুয়েলার্স দোকানটির মালিক আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মামুন এমরান খান হত্যা মামলার পলাতক আসামি।
এই মামলায় ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল গোয়েন্দা পুলিশ রবিউলসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছিলো। পলাতক রবিউল গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার আশুটিয়া গ্রামের মতিউর রহমান মোল্লার ছেলে। তিনি আপন, সোহাগ, হৃদয় নামেও পরিচিত বলে প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
জানা যায়, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খান নিজেকে পরিচয় দেন বাংলাদেশি হিসেবে। কিন্তু কাগজে কলমে তিনি ভারতের বাসিন্দা।পুলিশ বলছে, এই আরাভ খানের প্রকৃত নাম রবিউল ইসলাম।
জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৮ জুলাই বনানীতে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন মামুন ইমরান খান। পরদিন তার মরদেহ গাজীপুরের উলুখোলার একটি জঙ্গলে নিয়ে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ওই মামলার আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান সম্প্রতি আলোচনায় আসেন দুবাইয়ে “আরাভ জুয়েলার্স” নামে একটি গয়নার দোকান উদ্বোধন করে।
আরাভ খান নিজেকে বাঁচাতে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে অর্থের বিনিময়ে আরেকজনকে আদালতে আত্মসমর্পণ করিয়েছিলেন। কিন্তু জেলে থাকা সেই তরুণ একপর্যায়ে সত্য প্রকাশ করে দেয়। এরপর আদালত বিষয়টি অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দিতে বলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখাকে (ডিবি)।