27 C
Dhaka
Wednesday, February 12, 2025
More

    চট্টগ্রামে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু

    আরও পড়ুন

    ::: সালমান কবির :::

    চট্টগ্রামের মেহেদীবাগ এলাকার পল্টন রোড়ের একটি বাড়িতে চতুর্থ শ্রেণীর এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (১৩ মার্চ) রাত সোয়া নয়টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে ছেলেটির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এরআগে নুর ম্যানশনের একটি মাদ্রাসা থেকে ছেলেটিকে স্থানীয় ম্যাক্স হাসপাতালে নেয়া হয়। নিহত ছাত্রের নাম সাবিব সায়হান (৯)। তার পিতার নাম মশিউর রহমান।

    দারুস শেফা নামের একটি মাদ্রাসায়  ৪র্থ শ্রেনীতে পড়তো নিহত সাবিব।মাদ্রাসার তরফ থেকে বলা হচ্ছে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্নহত্যা করেছে ওই শিশু  । তবে তার অভিভাবকরা বলছেন এটি আত্মহত্যার কোন ঘটনা নয়, পরিকল্পিত হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছে সে।

    রবিবার রাতে খবর পেয়ে চকবাজার থানার একটি টিম চমেক হাসপাতালে পৌঁছে শিশুটির লাশ উদ্ধার করেছে । পুলিশ জানিয়েছে নিহত শিশুর সাবাবের গ্রামের বাড়ী কুমিল্লায়, সে তার বাবা মার সঙ্গে নগরীর দামপাড়া পল্টন রোড়ে  বাসায় থাকতো। প্রতিদিন সে  সকালে মাদ্রাসায় যেতো , আবার সন্ধ্যায় অভিভাবক গিয়ে নিয়ে আসতো। সে আজ সন্ধ্যায় গলায় ফাঁস নেবার কারণে হাসপাতালে নেয় মাদ্রাসার শিক্ষকরা। সেখানে মৃত্যু ঘটেছে।

    সিএমপির চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুর কাদের মজুমদার বলেন,  হাসপাতাল থেকে খবর পেয়ে আমাদের টিম গেছে। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে আত্নহত্যা কিনা। ‘

    নিহত শিশুর বাবা মশিউর রহমান বলেন, প্রতিদিন আমি আমার ছেলেকে সকালে মাদ্রাসায় দিয়ে আসি আর সন্ধ্যায় বাসায় নিয়ে যাই। আজ সন্ধ্যায় মাদ্রাসায় গিয়ে দীর্ঘক্ষন অপেক্ষা করে ছেলে নীচে না নামলে,  আমি শিক্ষকদের জানাই।  তারা বলে তাকে পাঠাচ্ছি। আরেকজন বলে বাথরুমে গেছে একটু অপেক্ষা করেন। চলে আসবে। এভাবে প্রায় ২০ মিনিট পর এক ছাত্র উপর থেকে আমাকে বলে আঙ্কেল তারাতাড়ি উপরে আসুন,  সাবাবের অবস্থা ভালো না। তখন আমি দৌড়ে ৩য় তলায় পর্যন্ত গিয়ে দেখি তারা আমার ছেলেকে ধরাধরি করে নীচে নামিয়ে হাসপাতালে নিচ্ছে। জানতে চাইলে বলে গলায় ফাঁস দিয়েছে।তখন দ্রুত তাকে পাশবর্তি ম্যাক্স হাসপাতালে নিয়ে যাই।  পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। চিকিৎসকরা জানায় আমার ছেলে আর বেঁচে নেই। ‘

    মশিউর রহমান বলেন, আমার এই ছোট ছেলে কখনো আত্মহত্যা করতে পারে না। আমি তার গলায় ও মুখে গালে আঘাতের চিহ্ন দেখেছি।

    পুলিশও নিশ্চিত করে ছেলেটির মৃত্যুর কারণ জানাতে পারেনি। এই শিশুর মৃত্যুকে নিয়ে তার অভিভাবক ও স্থানীয়রা নানা সন্দেহ করছেন ; তবে পুলিশ বলছে তদন্তের পর জানা যাবে বিস্তারিত।

    এই বাংলা /হিমেল

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisement -spot_img

    সবশেষ খবর