::: নিজস্ব প্রতিবেদক :::
দূর্নীতি ও অনিয়মের কুরুক্ষেত্র হিসেবে পরিচিতি পাওয়া নির্বাচন কমিশনে সাম্প্রতিক সময়ে সুশাসনের নজির স্থাপনের প্রচেষ্টার আড়ালে ২০১৮ সালের নির্বাচনের নানা অনিয়ম।এরই মধ্যে ফরিদপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোস্তফা ফারুককে অবসর পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর ঘটনার মধ্য দিয়ে নতুন এক নজির গড়লো কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন ইসি। নানা অভিযোগের মুখে ইসিতে এর আগে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা ওএসডি করার নজির থাকলেও অবসরে পাঠানোর ঘটনা দেখা যায়নি।
রোববার ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলমের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ফরিদপুরের আঞ্চলিক কর্মকর্তা মোস্তফা ফারুককে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ধারা ৪৫ অনুযায়ী জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে অবসর দেওয়া হল।
চাকরি আইনের ৪৫ ধারায় বলা আছে, ‘ কোনো সরকারি কর্মচারীর চাকরির মেয়াদ ২৫ (পঁচিশ) বৎসর পূর্ণ হবার পর যে কোনো সময় সরকার, জনস্বার্থে, প্রয়োজনীয় মনে করিলে কোনোরূপ কারণ না দর্শাইয়া তাহাকে চাকরি হইতে অবসর প্রদান করিতে পারিবে।’
মোস্তফা ফারুক ১৯৯৬ সালের জুনে ইসির নিজস্ব কর্মকর্তা হিসেবে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে যোগ দিয়েছিলেন। একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় তিনি নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ছিলেন। তখন তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে প্রতিবেদনও হয়েছিলো।
এরপর ২০১৯ সালে ২৮ অগাস্ট নির্বাচন কমিশনের চার পদে রদবদল করা হয়, যার মধ্যে মোস্তফা ফারুককে ঢাকা থেকে সরিয়ে ফরিদপুরের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা করে পাঠানো হয়েছিল। এখন তাকে অবসরে পাঠান হল। এনিয়ে তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।